তিনি নিজের অফিসিয়াল এক্স একাউন্টে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “গণহত্যা ও শিশুহত্যা, নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার, গাজা উপত্যকায় খাদ্য, পানি ও ওষুধ প্রবেশে বাধা প্রদান এবং নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের আটক করে তাদের ওপর পাশবিকতা চালিয়ে বর্ণবাদী ইসরাইল প্রমাণ করেছে তারা বিচিত্র অপরাধযজ্ঞ চালাতে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশকে [আইএস] ছাড়িয়ে গেছে।”
বৃহস্পতিবার ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার জাবালিয়া এলাকা থেকে বেশ কিছু ফিলিস্তিনি যুবককে আটক করে তাদের অর্ধনগ্ন করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তাদেরকে পাশবিক কায়দায় ধরে নিয়ে যায় যার সঙ্গে কয়েক বছর আগে আইএসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত নৃশংস ভিডিওর মিল পাওয়া যায়।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান তার এক্স পোস্টে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেন, ইসরাইল যদি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেয়া হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করতে থাকে তাহলে বিশ্ব সংস্থাগুলোর অবকাঠামোগত পতন হবে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বলে আর কিছু থাকবে না।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার যুদ্ধনীতি ও গণহত্যা অভিযানের ব্যর্থতা অত্যাসন্ন হয়ে পড়েছে।
এর আগে বুধবার গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা জারি করার আহ্বান জানান তিনি। এই ধারা যে-কোনো বৈশ্বিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ মহাসচিবের সবচেয়ে শক্তিশালী কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু গুতেরেসের সেই আহ্বান উপেক্ষা করে গতরাতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে আমেরিকা।#
342/