‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
সোমবার

১ জানুয়ারী ২০২৪

৬:৫০:০২ AM
1425621

মালয়েশিয়ার সক্রিয় শিয়া নাগরিকের সাক্ষাতকার:

মালয়েশিয়ায় শিয়ারা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বিধিনিষেধের সম্মুখীন

মালয়েশিয়ার ইমামিয়া শিয়া নাগরিক সমাজের পৃষ্ঠপোষক বলেন, ১৯৯৬ সালে মালয়েশিয়া ইসলামী মাজহাব পরিষদ কর্তৃক “শিয়ারা প্রকৃত ইসলাম থেকে বিচ্যুত”-শীর্ষক আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর থেকে, শিয়াদের বিরুদ্ধে বৈষম্য আইনিরূপ ধারণ করেছে এবং শিয়াদের অবস্থার অবনতি ঘটে। অথচ এর আগে এমন কোন ফতোয়ার অস্তিত্ব ছিল না।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): অপরের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার-অনুষ্ঠানের প্রতি সম্মান করা, এমন একটি বিষয় যার প্রতি প্রত্যেক মানুষের বিবেচনা করা উচিত এবং এই বিষয়টি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের অন্যতম উদ্দেশ্য বিশেষ করে জাতিসংঘের‍। জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এবং পৃথিবীর শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক এমন যে কোন পদক্ষেপের মোকাবেলা করতে হবে। এ সত্ত্বেও, প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশের দুঃখজনক সংবাদ কানে পৌছায় যে, তারা নিজেদের জনগণের অধিকার লঙ্ঘন করে এবং তাদের জন্য বিধিনিষেধ তৈরি করে।

সাধারণত, সবাই মনে করে মালয়েশিয়া একটি শান্তিকামী দেশ যেখানে সবাই একে অপরের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল; কিন্তু এই ভাবনার বিপরীতে, এই ইসলামি রাষ্ট্রে অন্যদের বিশ্বাসের প্রতি ঐরূপ সম্মান দেখানো হয় না এবং ইমামিয়া শিয়াদের মতো বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান।

অতঃপর সেলাঙ্গর প্রদেশে অবস্থিত আর-রেজা কেন্দ্রের প্রধান এবং মালয়েশিয়ার ইমামিয়া শিয়া নাগরিক সমাজের পৃষ্ঠপোষক মুহাম্মদ কামেল যুহাইরি বার্তা সংস্থা আবনাকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে, দেশটিতে শিয়াদের সীমাবদ্ধতা এবং সাম্প্রদায়িক বৈষম্য সম্পর্কে কথা বলেন।

আবনা: মালয়েশিয়ার শিয়ারা কি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বিধিনিষেধের সম্মুখীন?

হ্যাঁ, দুঃখজনক ভাবে মালয়েশিয়ায় শিয়াদের জন্য ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে বৈষম্য ও বিশেষ সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অথচ যেখানে অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য এমন কোন বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা নেই।

আবনা: শিয়াদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের উৎপত্তি কিভাবে?

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় শিয়াদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, এ প্রদেশের শিয়াদের বিশ্বাস ও শিক্ষাকে ১৯৯৬ সালে ভ্রান্ত বলে ফতোয়া দেওয়ার কারণে যার পূর্বে এমন কোন ফতোয়া ছিল না।

আবনা: মালয়েশিয়ার মুসলমানরা আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি ভক্তি রাখে?

- সাধারণত মালয়েশিয়ার মুসলমানরা দ্বীনদার ও মধ্যপন্থী এবং রসূলে আকরাম (সা.)-এর আহলে বাইতের প্রতি বিশেষকরে হজরত ফাতিমা (সা.আ.), ইমাম হাসান (আ.), ইমাম হুসাইন (আ.) এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর প্রতি বিশেষ ভক্তি রাখেন এবং প্রায় মালয়েশিয়ার নব্বই হাজার নারীর নাম ফাতিমা; তবে আহলে বাইত (আ.) সাথে মুসলমানদের পরিচিতি খুবই সীমিত এবং তাদের বেশিরভাগই রসূলের (সা.) বংশধর ও স্ত্রীদেরকে আহলে বাইত (আ.) মনে করে।

আবনা: মালয়েশিয়ার অন্যান্য বছরের ন্যায় চলতি বছর কি আশুরার অনুষ্ঠান কালে শিয়াদের ইমামবাড়িগুলো হামলার শিকার হয়েছে?

সৌভাগ্যবশত এ বছর সায়্যেদুশ শোহাদা (আ.)-এর শোকানুষ্ঠানে কোন আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি আর শুধুমাত্র একটি প্রদেশে ধর্মীয় বিষয়াদিতে তৎপর বাহিনীর কিছুসংখ্যক সদস্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একটি বাড়িতে যায়। এ বছর দু’টি কারণে শিয়াদের আশুরার শোকানুষ্ঠানে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি; প্রথমত, কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া আবা আবদিল্লাহ হুসাইন (আ.)-এর শোকানুষ্ঠান পালনের জন্য আশুরার বেশিরভাগ শোকানুষ্ঠান অনির্দিষ্ট স্থানে আয়োজিত হয়। দ্বিতীয়ত, মূলতঃ মুহররম মাসে মালয়েশিয়ার নতুন সরকারের প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই রাজতন্ত্র, ধর্ম এবং জাতিগত কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে।

আবনা: কেন একটি ইসলামি দেশ হয়েও মালয়েশিয়া শিয়াদের প্রতি শত্রুতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি রাখে এবং শিয়াদের প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের সংবেদনশীলতার কারণ কি?

মালয়েশিয়ার ধর্মীয় নীতি এমনকি মালয়েশিয়ার অর্থনীতিও তাকফিরি ঘেঁষা আবর দেশের নীতির সাথে বাঁধা রয়েছে। সর্বাবস্থায় অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে একে অপরের সাথে সংযুক্ত। যেখানে মালয়েশিয়ার সাধারণ মুসলমানরা মধ্যপন্থী, সেখানে প্রচারণার প্রয়োজন আছে, যাতে করে তারা হয়তো মানুষদেরকে অন্য বিশ্বাসের দিকে ঝুঁকে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারবে।

আবনা: সংক্ষেপে মালয়েশিয়ায় ওয়াহাবি ও তাকফিরিদের কার্যক্রম সম্পর্কে বলুন। কখন থেকে এই দলগুলো মালয়েশিয়ায় বিস্তার লাভ করেছে এবং শিয়া সংস্কৃতি প্রচারের বিরুদ্ধে কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে?

তাকফিরি ও ওয়াহাবিদের ইতিহাস ১৯২০ সনের দিকে ফিরে যায়, এই অঞ্চলে আর্থিক প্রভাবের কারণে ওয়াহাবি মতবাদের অনুপ্রবেশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশটি (দারুস সুন্নাহ) বিশেষ করে সালাফি ও ওয়াহাবিদের জন্য। যদিও তারা নিজেদেরকে ওয়াহাবি হিসেবে পরিচয় দেয় না। সালাফি ও ওয়াহাবিরা বিভিন্ন স্থান ও প্রতিষ্ঠানে মুবাল্লিগে দ্বীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, বক্তা, সামাজিক ব্যক্তিত্ব অথবা রাজনীতিবিদ হিসেবে উপস্থিত হয় ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিডিয়া, সাইট এবং প্রকাশনায় বক্তব্যের মাধ্যমে শিয়াদের বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপ আঞ্জাম দিয়ে থাকে।

শিয়াদেরকে কাফের ফতোয়া দেবার পাশাপাশি মুহররমের শোকানুষ্ঠানে নানাভাবে আক্রমণ চালানো, আটক ও বিচার করা শিয়াদের বিরুদ্ধে নেয়া ওয়াহাবিদের পদক্ষেপসমূহের অন্তর্গত।

একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সাল হতে মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে ৮০৯ জন সন্ত্রাসী আটক হয়েছে যাদের বেশিরভাগই তাকফিরি গোষ্ঠীর (দায়েশ, আল-কায়দা, জামায়াতে ইসলামি, দারুল ইসলাম, আবু সাইয়্যাফ…) সদস্য ছিল। তদ্রূপ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার ৯২ জন তাকফিরি সিরিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক হয়।

২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের হাতে অপহরণ, বিভিন্ন স্থানে হামলা, দায়েশ সরকার প্রতিষ্ঠা, অস্ত্র ডাকাতি ও ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা অভিযোগ ১৭ জন সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়। তখন আমি নিজে এবং আর-রেজা কেন্দ্র সন্ত্রাসীদের হুমকির সম্মুখীন ছিলাম। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে করোনার বছরগুলিতে সন্ত্রাসীদের সকল হুমকি এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ থেমে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও, সুন্নি আলেমরাও মালয়েশিয়ায় ওয়াহাবি ও তাকফিরি কর্মীদের মোকাবেলা করেছেন।

আবনা: একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে, আপনি কিভাবে মালয়েশিয়ায় ওয়াহাবি সম্প্রদায়ের কার্যকলাপের উপর আলোকপাত করবেন?

বছরের পর বছর ধরে ওয়াহাবি ও তাকফিরি মতবাদ অনুপ্রবেশসহ নানা কারণে কারণে, মালয়েশিয়ায় শিয়াদের এবং তাদের অনুষ্ঠান ও কেন্দ্রগুলোর উপর হামলা হয়েছে।

যদিও আভ্যন্তরীণ মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো ঘটনাগুলোকে নেতিবাচক ভাবে তুলে ধরেছে; কিন্তু তারা সামগ্রিকভাবে, আহলে বাইত (আ.)-এর সাথে মানুষের পরিচিতি করতে এবং কৌতূহল সৃষ্টি করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও তাত্ত্বিক ও অ-তাত্ত্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা ও জিজ্ঞাসাবাদও ফাতেমী, আলাভী, হাসানী, হোসাইনী, রাজাভী ও মাহদাভী তথা আলে মুহাম্মদের (সা.) শিয়াদের আক্বল, সত্যসন্ধানী ও শান্তি-অন্বেষণকারী মক্তবের সাথে পরিচিত করাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

অবশ্য আভ্যন্তরীন ভাবে আলোকিতকরণ আমাদের এবং অন্যদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এছাড়াও কতিপয় আহলে বাইত (আ.)-এর ভক্ত শিয়াদের বিরুদ্ধে হামলা ও প্রচারণার জবাবে, বিনিয়োগ করেন এবং ড. তিজানী সামাভীর«ثُمَّ اهْتَدَیتُ» গ্রন্থের ন্যায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ মালয়েশিয়ান ভাষায় অনুবাদ করে প্রায় একলক্ষ কপি মসজিদ, নামাজের স্থান এবং বিভিন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে হাদিয়া করেন, যাতে মানুষ পড়ার পর শিয়াদের সম্পর্কে অসত্য প্রচারণার প্রভাবের শিকার না হয়।

আবনা: আপনার দৃষ্টিতে মালয়েশিয়ায় শিয়াদের দলগুলিকে শক্তিশালী করার সর্বোত্তম পন্থা কি?

প্রথমত আমাদের এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমরা শিয়া সমাজ, কোন দল নই, আমরা কোন গ্যাং বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও নই। মালয়েশিয়ান সংবিধানের উপর ভিত্তি করে, শিয়া মাজহাবও হানাফি, মালিকী, হাম্বালী মাজহাবের ন্যায় এই দেশের স্বীকৃত মাজহাব। শিয়াদের পথে একমাত্র বাধা হল, ১৯৯৬ সালে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি যা ঠিক করা আবশ্যক। ১৯৯৬ সালে জাতীয় ফতোয়া কমিটি শিয়াদের শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করে -হোক তা ইমামিয়া বা জায়দিয়া- এবং সুন্নি ইসলামকে দেশটির আনুষ্ঠানিক ইসলাম ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একারণেই, জাতীয় ফতোয়া কমিটি শিয়া মুসলমান সমাজের বিশ্বাস প্রসারে বাধা দেয় এবং মালয়েশিয়া নিরাপত্তা বাহিনীকে শিয়াদের সমাবেশে হামলা করার অনুমতি দেয়। অথচ ১৯৮৪ সালে এই জাতীয় ফতোয়া কমিটিই জাফরি ও জায়দিয়া শিয়াদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং বৈধ মনে করতো।

আমি একদিন মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রীর সহকারীকে বলেছি, এটা দুঃখের বিষয় যে শিয়াদের ব্যাপারে ১৯৯৬ সালে গৃহীত ফতোয়ার প্রভাবে যে অস্বচ্ছতা সৃষ্টি হয়েছে, পৃথিবীর কোটি কোটি শিয়া ভাইদেরকে অসন্তুষ্ট করেছে; নিশ্চিতরূপে বিষয়টি বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে, কেননা শিয়াদের জন্য দ্বীন ও মাজহাবের পবিত্র বিষয়াদি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমানে শিয়ারাই পৃথিবীতে প্রথম কথাটি বলে অতএব এই অবস্থার সংশোধন হওয়া উচিত।

মহান আল্লাহ্ সূরা আনফালের ৪৬নং আয়াতে বলেছেন: وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَلَا تَنَازَعُوا فَتَفْشَلُوا وَتَذْهَبَ رِيحُكُمْ وَاصْبِرُوا ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ؛  আর আল্লাহ তা’আলার নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্যশীলদের সাথে।

আবনা: মালয়েশিয়ায় আহলে বাইত (আ.)-এর সংস্কৃতির প্রসারের ক্ষেত্রে আপনার কি বিশেষ কোন পরিকল্পনা রয়েছে?

রসূলের আহলে বাইত (আ.), আমিরুল মুমিনীন (আ.) এবং হজরত যাহরা-এ মার্যিয়া (সা.) হতে নিয়ে হজরত বাকিয়াতুল্লাহ আল-মাহদী (আ.ফা.) পর্যন্ত এই ঐশী মানব, নুরের খনি, এবং জগতসমূহের রহমতগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

অন্তর্ধান কালে চাহিদা অনুসারে, আমরা সারা বিশ্বে পৃথক অঞ্চলের জন্য বিশেষ অসংখ্য পরিকল্পনা গঠন ও বাস্তবায়ন করি। যদিও আমাদেরকে লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে, কারণ সাংস্কৃতিক কাজের বৈশিষ্ট্য এমনই হয়।

সু-নিশ্চিতরূপে আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে; কিন্তু আল্লাহর শোকর যে, আমরা নিঃসঙ্গ নই, আমাদের আহলে বাইত (আ.) আছেন। তারা হলেন আলো এবং পথপ্রদর্শক, এছাড়াও অন্তর্ধানকালে আমাদের জন্য সর্বোচ্চ নেতা রয়েছেন। অবশ্যই এই নেয়ামতগুলোর শুকরিয়া আদায়কারী হতে হবে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তাদের কথার অনুসরণ করতে হবে এবং সমাজ, অঞ্চল, দেশের চাহিদানুসারে সতর্ক ও সচেতন হতে হবে।#176A