‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শনিবার

২ মার্চ ২০২৪

১:৪৮:২২ AM
1441481

মোহাম্মদ আলী রমিন:

শীয়া না হয়েও আজ গাজার জনগণ আহলে বাইতের সবচেয়ে নিকটবর্তী একটি জনগোষ্ঠী

ইরানের সাবেক প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন: ‍“গাজার নির্যাতিত জনগণ, শিয়াদের মতই সত্য ও ন্যায়-বিচারের পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। জুলম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে তাঁরা যেমন রুখে দাঁড়িয়েছে তেমনি যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতেও তারা প্রস্তুত রয়েছে। তাঁরা না আত্নসমর্পণ করেছে আর না হতাশ হয়ে পড়েছে। তাঁরা এখন ‍“হায়আত মিন্নায যিল্লাহ” বা (অবমাননা আমাদের থেকে বহু দূরে!) স্লোগানের জীবন্ত উদাহরণ”।

আহলে বাইত বার্তা সংস্থা (আবনা): মোহাম্মদ আলী রমিন, ইরানের সাবেক এই প্রেস সেক্রেটারি আহলে বাইত আন্তর্জাতিক বার্তা-সংস্থার ২৪তম প্রদর্শনীতে যোগদানের সময় আবনা নিউজ এজেন্সির পরিচালক ও দায়িত্বশীলদের সাথে আলাপকালে বলেন: এই (আবনা) সংবাদ সংস্থাটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক বৈশ্বিক ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে সাধারণ সংবাদ মাধ্যমগুলোর তুলনায় অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

রমিন আরো বলেন: আহলে বাইত বার্তা-সংস্থা কেবল শীয়াদের সাথে সম্পৃক্ত নয়, এটা যদি আহলে বাইতের পবিত্রতা ও বিশুদ্ধতাকে ইসলামী বিশ্বের দাবি হিসেবে উপস্থাপন করতে পারে, তাহলে নিঃসন্দেহে একটি মহান কাজ সম্পাদিত হবে।

হজরত যাহরা (সা.) যিনি একজন বিচক্ষণ চিন্তাশীল, প্রজ্ঞাবান, পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ মননের নারী-ব্যক্তিত্ব হিসেবে খ্যাত, তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের কন্যা, সর্বত্তম সন্তানদের জননী এবং শ্রেষ্ঠতম মানুষের স্ত্রী। সব সময়ের সেরা ও  সর্বত্তম মহীয়সী নারী ব্যক্তিত্ব। যদি পবিত্র আহলে বাইতকে (আ.) বিশ্ববাসীর নিকট রোল মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায় তবে তা শুধু মুসলমানদের কাছে নয়, বরং সকলের উপর বিজয়ী হবে।

তিনি আরো বলেন: এমনভাবে আহলে বাইতের (আ.) পরিচয় তুলে ধরুন যে, তাঁর মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষার্থে সর্বদাই নিজেদের সর্বস্ব ও মহান-জীবন উৎসর্গ করেছেন। মুসলমানদের প্রকৃত কল্যাণের জন্য এগুলোর প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য। শিয়া না হয়েও গাজার জনগণ আজ সম্ভবত আহলে বাইতের (আ.) সবচেয়ে কাছের একটি জনগোষ্ঠী। কারণ গাজার নির্যাতিত জনগণ বর্তমানে, শিয়াদের মতই সত্য ও ন্যায়-বিচারের পক্ষে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। জুলম ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে যেমন তাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছে তেমনি যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতেও তাঁরা প্রস্তুত রয়েছে। তাঁরা না আত্নসমর্পণ করেছে আর না হতাশ হয়ে পড়েছে। তাঁরা এখন “হাইহাত মিন্নায যিল্লাহ” (অবমাননা আমাদের থেকে বহু দূরে!) স্লোগানের জীবন্ত উদাহরণ। আমি বিশ্বাস করি যে, গাজার মানুষ আজকের দিনে কারবালা ও ইমাম হোসাইনের (আ.) মাজলুমিয়াতের মূর্তপ্রতিক।

মোহাম্মদ আলী রামিন বলেন: গাজায় শহীদ হওয়া সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীরা এতই উচ্চ মর্যাদার অধিকারী যে, তারা আহলে বাইতের (আ.) পছন্দনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। গাজার এই সকল শহীদ সাংবাদিকদের মধ্যে ১০ জনও যদি আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের থাকত, তাহলে তারা বিশ্ব অঙ্গনে তাদেরকে পূজার মডেল হিসাবে প্রতিমায় পরিণত করত।#176K