আজ (সোমবার) সেখানে এ বছরের প্রথম রোজা পালন করছেন ফিলিস্তিনি মুসলমানেরা তবে গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষের সামনে প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা নেই। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের কারণে গাজায় চরম ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে সেখানে খাদ্য ও পুষ্টির অভাবে অন্তত ২৫ জন মারা গেছে যাদের বেশিরভাগই শিশু।
ইসরাইল ১৬ বছর ধরে গাজা উপত্যকাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে এবং গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেই অবরোধকে আরো জোরদার করেছে। এতে গাজার খাদ্য নিরাপত্তা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।
ফিলিস্তিনের শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা বা আনরোয়ার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেছেন, এমন সময় পবিত্র রমজান মাস এসেছে যখন গাজার জনগণ প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ও তারা উদ্বাস্তু অবস্থায় রয়েছে এবং ভয় ও উদ্বেগ যাদেরকে তাড়া করে ফিরছে। তিনি বলেন, এই মাসে দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট গাজাবাসীর জন্য যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন।
দিয়াব আয-জারা নামে ৭৭ বছর বয়সী গাজার এক অধিবাসী মিডিল ইস্ট আই অনলাইন পত্রিকাকে বলেন, নাকবা দিবসের চেয়ে বর্তমানে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন ফিলিস্তিনিরা।#
342/