নিহতদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের একজন করে ত্রাণকর্মী রয়েছেন। অ্যান্দ্রেস এ ধরনের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার জন্য তেল আবিবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিহত ত্রাণকর্মীরা উত্তর গাজায় রান্না করা খাবার বিতরণ শেষে দক্ষিণ গাজার রাফায় ফিরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মধ্য গাজার দেইরাল বালাহ এলাকায় তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালায় ইসরাইলি জঙ্গিবিমান।
মধ্যগাজার আল-আকসা হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, চারজন বিদেশি ত্রাণকর্মী ও তাদের ফিলিস্তিনি গাড়িচালকের মরদেহ ওই হাসপাতালে আনা হয়েছে। চতুর্থ ত্রাণকর্মীর দেহ এতটা থেঁতলে গেছে যে, তাৎক্ষণিকভাবে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানেজ ইসরাইলি হামলায় তার দেশের নারী ত্রাণকর্মী জোমি ফ্রাঙ্কমের নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রচণ্ড রকম ক্ষুধায় আক্রান্ত গাজাবাসীর জন্য যারা খাবার সরবরাহ করছিল তাদের ওপর এ হামলা ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি এ ঘটনার জন্য ইসরাইলকে ‘পূর্ণ দায়’ বহন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এটি এমন একটি দুঃখজনক ঘটনা যা কখনই ঘটা উচিত ছিল না।
ফিলিস্তিনি হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহত ত্রাণকর্মীরা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের লোগোসমৃদ্ধ বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত ছিলেন। তারা উত্তর গাজায় ত্রাণ তৎপরতা শেষ করে রাফায় ফেরত যাওয়ার জন্য ইসরাইলি সেনাদের সবুজ সংকেতও নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও তাদেরকে হত্যা করেছে বর্বর ইহুদিবাদী সেনারা।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন আর কোনো বিদেশি ত্রাণকর্মী গাজা উপত্যকায় না যায় এবং গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের যাতে অনাহারে ধীরগতিতে হত্যা করা যায় সেজন্য এই হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।#
342/