তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা হামলা চালাচ্ছে এবং আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষার চেষ্টা করছি। এই অর্থনৈতিক যুদ্ধের ফলাফল নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতার মাধ্যমে নয় বরং ইচ্ছাশক্তির দ্বারা নির্ধারিত হবে।”
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল (মঙ্গলবার) নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে দাবি করেছে, শ্যাডো ব্যাংকিং নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০টি সংস্থা ও ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকস এবং ইসলামী বিপ্লব গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি সমর্থিত এই নেটওয়ার্কটি ২০২০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থায় অবৈধ প্রবেশাধিকার এবং শত শত কোটি ডলারের লেনদেনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, সশস্ত্র বাহিনীর লজিস্টিকস বিভাগ এবং আইআরজিসি রাজস্ব উৎপাদনকারী বাণিজ্যিক কার্যক্রম বিশেষ করে ইরানের তেল এবং পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রির সাথে জড়িত।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা জেসিপিওএ থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওয়াশিংটন নতুন করে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি সই করার আগ্রহ প্রকাশ করলেও তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বিদ্যমান চুক্তির মাধ্যমেই সকল পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। কাজেই আমেরিকার সঙ্গে নতুন করে কোনো আলোচনা হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ-তে সই করেন। সে সময় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে ছিলেন জো বাইডেন। জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে দাবি করলেও বাস্তবে তার উল্টোটাই দেখা গেছে। বাইডেন প্রশাসনও ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে।#
342/