জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এ প্রসঙ্গে বলেছে, এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ ও স্বাস্থ্য-কর্মীদের বন্দি করার ঘটনা গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের জন্য অত্যন্ত ভয়ানক পরিণতি বয়ে আনছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অত্যন্ত ৫০০ জন মানবিক ত্রাণ ও উদ্ধারকর্মী ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর আরও বলেছে, হাসপাতালগুলো ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর ওপর ইসরাইলি হামলা এবং এইসব পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ যুদ্ধ ও মানবিক আইনগুলোর প্রকাশ্য লঙ্ঘন।
সম্প্রতি (মঙ্গলবার ভোরে) গাজায় ইসরাইলি বোমা বর্ষণে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস-এর কর্মী হিসেবে সক্রিয় ডাক্তার ফাদি আল ওয়াদায়া শহীদ হয়েছেন। ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস ইসরাইলের এই অপরাধের নিন্দা জানিয়ে বলেছে: গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে এই সংস্থাটির ষষ্ঠ সদস্য ইসরাইলি হামলায় প্রাণ হারালেন।
গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও প্রায় এক লাখ ব্যক্তি আহত হয়েছে। মজলুম ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে দখলদার ও বর্ণবাদী ইসরাইলকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সরকারগুলো।
ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের ব্যালফোর নামক ঘোষণার আলোকে এবং বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনে অভিবাসন করতে উৎসাহ যুগিয়ে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার এবং গোটা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোকে দখলে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। #
342/