তিনি বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে আরো বলেন, বিগত এক সপ্তাহে দখলদার সেনারা গাজায় অন্তত ৩০টি গণহত্যা চালিয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডে কমপক্ষে এক হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
আব্দুল-মালিক আল-হুথি বলেন, “ইসরাইলি শত্রু সামরিক সংঘাতে ব্যর্থ হয়ে এবং নিজের ঘোষিত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়ন করতে না পেরে এখন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর গণহত্যামূলক অপরাধী তৎপরতা জোরদার করেছে।”
মুসলিম ও আরব দেশগুলোর নির্বিকার অবস্থানের ব্যাপারে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, গাজায় চলমান গণহত্যার ব্যাপারে এসব দেশের নীরবতা তাদের মারাত্মক নৈতিক, মানবিক এবং ধর্মীয় দেউলিয়াত্ব প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়ঙ্কর সব অপরাধযজ্ঞ চালানো সত্ত্বেও এখনও কিছু আরব দেশের শাসকরা ইসরাইলকে সন্ত্রাসী মনে করে না। মুসলিম শাসকদেরকে ঐশী প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ইয়েমেনের এই নেতা বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি মুসলিমরা যেদিন তাদের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে সেদিন আল্লাহ তায়ালা তাদের সাহায্য করবেন।
হুথি বলেছেন: ইহুদিবাদী শত্রুর অপরাধ প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় এবং সে সময় আরব বিশ্বের উন্নয়নের সঙ্গে ইরানের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইরানের ইসলামি বিপ্লব ফিলিস্তিনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে এবং ফিলিস্তিনি জাতিকে সমর্থন করাকে একটি ইসলামী কর্তব্য হিসেবে দেখিয়েছে। আরব জাতির করুণ অবস্থা এবং ইংল্যান্ড ও আমেরিকার সমর্থন, শত্রুর বিজয়ের কারণ ছিল।
342/