রিপোর্ট অনুযায়ী,সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসেইনী আজ আরমান পত্রিকায় একটি নিবন্ধে লিখেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাম্প্রতিক ঘোষিত নীতিতে তেহরান প্রতিরোধ ফ্রন্টে ইরানের পারফরম্যান্স এবং প্রতিবেশীদের সাথে ইরানের পারফরম্যান্সের মধ্যে পার্থক্য করার চেষ্টা করেছে। এমনকি এগুলোকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
তাই এ ক্ষেত্রে ইরানের যুক্তি ছিল যে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা হল প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সম্প্রসারণবাদী নীতির মোকাবিলা করা। ইরান এটা দেখানোর চেষ্টা করছিল যে আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে তেহরানের অবস্থান বাস্তবসম্মত কিন্তু অন্যদিকে তারা তার প্রতিবেশীদের প্রতি আদর্শবাদী যুক্তি অনুসরণ করে।
৭ই অক্টোবরের পর ইহুদি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ফ্রন্টের সংঘাতের সক্রিয়তা এবং ইরান ও ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে যে ধারাবাহিক সংঘর্ষ হয় এর অনেক ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক ছিল। এর একটি ইতিবাচক দিক ছিল সামরিক দিক থেকে ইরানের প্রতিরক্ষা কৌশল সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি। প্রতিরোধের যুক্তি থেকে যার আওতায় ট্রু প্রমিজ ওয়ান এবং টু অভিযান পরিচালনার মধ্যে দিয়ে ইরানের স্মাট কূটনীতি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে উন্মোচিত হয়েছে। ইরান যুদ্ধের সম্প্রসারণ চায় না,তবে দৃঢ়ভাবে তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করার ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এই দৃশ্যটি প্রতিবেশী দেশ এবং অঞ্চলের কাছে উপস্থাপিত হয়েছিল এবং দেখিয়েছিল যে কীভাবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান সামরিকভাবে ইহুদিবাদীদের দ্বারা হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল এবং কীভাবে তারা এই হুমকিগুলোর প্রতিকারের যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্তমূলকভাবে এর জবাব দিয়েছে।
আরব দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব এবং মিশর দ্বারা ইরানের উপর ইহুদিবাদী আক্রমণের নিন্দা এবং তুর্কি সরকারের স্বীকার করা যে ইহুদিবাদী শাসকদের বিরুদ্ধে ইরানের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে;এটি ইরানের সামরিক শক্তির প্রতিরক্ষামূলক প্রতিবেশী এবং আরব দেশগুলির বিশ্বাসযোগ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন যা প্রতিবেশী নীতির অগ্রগতিকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে। অতএব আমেরিকা এবং ইহুদিবাদী শাসকদের সাথে ইরানের সংঘর্ষ প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে প্রমাণ করে যে:
১. ইরান আঞ্চলিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে না এবং এর সামরিক কৌশল হল প্রতিরোধ এবং প্রতিরক্ষা।
২- ইরান স্বেচ্ছায় এই অঞ্চলের সামষ্টিক নিরাপত্তা এবং মুসলিম উম্মাহর সাধারণ স্বার্থ বজায় রাখতে হস্তক্ষেপ করে।
৩- প্রতিরোধ ফ্রন্ট এবং ইরানের প্রতিবেশী নীতিতে ইরানের সামরিক পদক্ষেপের মধ্যে কোন বিরোধ নেই, তবে তারা পারস্পরিকভাবে উপকারী।
৪- ইরানের হস্তক্ষেপকারী শক্তির প্রতি বাস্তববাদী যুক্তি এবং মুসলিম ও প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি একটি আদর্শবাদী যুক্তি রয়েছে।
৫- শিয়া, সাফাভিজম এবং ইরানোফোবিয়ার বিষয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা প্রপাগাণ্ডার বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই।