‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শুক্রবার

২ ডিসেম্বর ২০১৬

৩:০৯:৫০ AM
795471

বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও শ্রীলংকায় সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ শাহরুখি খোররাম আবাদি (রহ.)-এর স্মরণে বিশেষ স্মরণসভা ও কোরআন খানি ঢাকাস্থ ইরানি কালচারাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও শ্রীলংকায় সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট আলেম আয়াতুল্লাহ শাহরুখি খোররাম আবাদি (রহ.)-এর স্মরণে বিশেষ স্মরণসভা ও কোরআন খানি গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবস্থিত ইরানি কালচারাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ আয়াতুল্লাহ শাহরুখি খোররাম আবাদি (রহ.)-এর স্মৃতিচারণ করেন।

গতকাল বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান জামায়াতের সাথে মাগরিবের নামায আদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের মাননীয় রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি দেহনাভি। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-মুস্তাফা (স.) আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন হাসান আমির আনসারি, ঐতিহাসিক হুসাইনি দালান ইমামবাড়ির পেশ ইমাম ও জুমআর খতিব হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ রাশেদ হুসাইন যায়দি, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা ড. মাহবুবুর রহমান, শুরেস্বর পীর। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তৎপর ব্যক্তিত্ববর্গ এবং বিভিন্ন মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কুরআন খতমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর আলোচনা পর্ব শুরু হয়। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কালচারাল কাউন্সেলর জনাব সৈয়দ মুসা হুসাইনি। তিনি তার বক্তব্যে উপস্থিতিদেরকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন ড. আব্বাস ভায়েজি দেহনাভি তার বক্তব্যে ‘আয়াতুল্লাহ শাহরুখি ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব রাখেন। এছাড়া তিনি মরহুমের বিভিন্ন তৎপরতা ও স্মৃতি সংকলন করে গ্রন্থ আকারে প্রকাশের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনের দায়েত্বে ছিলেন ইরানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভাইস প্রিন্সপ্যাল হুজ্জাতুল ইসলাম জনাব আব্দুল কুদ্দুস।

উল্লেখ্য, আয়াতুল্লাহ শাহরুখি গত কয়েক দশক ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের বহু মানুষের কাছেই আয়াতুল্লাহ শাহরুখি এক পরিচিত নাম।

তিনি ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর গঠিত প্রথম সংসদের সদস্য ছিলেন। এছাড়াও তিনি লোরেস্তান প্রদেশ থেকে পরপর দুই বার বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ইসলামি বিপ্লবের আগে স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি তিন বার কারাবরণ করেন। ইসলামি বিপ্লবের স্থপতি হরত ইমাম খোমেনি (রহ.)'রও আস্থাভাজন ছিলেন আয়াতুল্লাহ শাহরুখি।#