‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
সোমবার

১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

১:২৩:০৬ PM
881681

ইসলামি বিপ্লব বিশ্ববাসীর মনে আশার আলো জাগিয়েছে : আখতারি

মাজমার মহাসচিব বলেছেন: জনগণের সাহসিকতা ও আহলে বাইত (আ.) এর মাজাগুলো রক্ষার দায়িত্ব থাকা আত্মত্যাগী মানুষগুলোর প্রতিরোধের মাধ্যমে ইরান দেশের বাইরে শত্রুদের উপর এমন আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে যে, শত্রুরা পালানোর পথ হারিয়ে ফেলেছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আহলে বাইত (আ.) বিশ্বসংস্থা (মাজমা)-এর মহাসচিব হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন আখতারি গতকাল ২২শে বাহমান (রোববার, ১১ ফেব্রুয়ারি) ইরানের বিপ্লব বার্ষিকী উপলক্ষে নিশাবুর শহরে প্রদত্ত ভাষণে বলেন: ইরানে ইসলামি বিপ্লবের বিজয় ছিল, মহানবি (স.) কর্তৃক আনীত প্রকৃত ইসলামের নূরের বিস্ফোরণ।

তিনি বলেন আজ ২২শে বাহমান বিপুল সংখ্যক জনগণ এ দিবসকে উদযাপন করতে রাস্তায় নেমে শত্রুদের মুখে চপেটাঘাত করেছে। তারা বজ্রকণ্ঠে আমেরিকা নিপাত যাক, ইসরাইল নিপাত যাক ইত্যাদি শ্লোগান তুলে শত্রুদের অন্তরকে কাঁপিয়ে দিয়েছে এবং শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্রকে ধূলিস্যাৎ করেছে।

জনাব আখতারি বলেন: ইসলামি বিপ্লবের শুরু থেকে মহান আল্লাহ্‌র বিশেষ সাহায্য ও অনুগ্রহের শামিল হয়েছে ইরানের মুসলিম জনতা। আমরা এ সাহায্যের বলেই একের পর এক বিজয়ের মুখ দেখে চলেছি।

তিনি বলেন: আজ বিশ্বের বহু দেশ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে নিজেদের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং তারাও ইরানের জনগণের মত ইসলামি বিপ্লবের বিজয় বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে।

মাজমার মহাসচিব বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শক্তি সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। জনগণের সাহসিকতা ও আহলে বাইত (আ.) এর মাজাগুলো রক্ষার দায়িত্ব থাকা আত্মত্যাগী মানুষগুলোর প্রতিরোধের মাধ্যমে ইরান দেশের বাইরে শত্রুদের উপর এমন আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে যে, শত্রুরা পালানোর পথ হারিয়ে ফেলেছে।

তার সংযোজন: আজ আমরা যখন ইসরাইলকে লাঞ্ছিত হতে দেখি এবং তাদের বিমান ভূপাতিত হয়, তখন তারা আমেরিকা ও রাশিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে। যাতে আমেরিকা ও রাশিয়া ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে বাধা সৃষ্টি করে। এটা সত্যিই আমাদের জন্য গুরুত্ববহ যে, ইরান একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে আত্মপ্রকাশ করেছে।

আহলে বাইত (আ.) এর মাজারগুলো রক্ষায় থাকা আত্মোৎসর্গী বীরদের সাহসিকতায় সৌদি আরব চরম আঘাতের মুখে পড়েছে –এ কথা উল্লেখ করে জনাব আখতারি বলেন: বিভিন্ন অপরাধকর্মে লিপ্ত আমেরিকা, ইসরাইল এবং তাদের আরব দোসররা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। কারণ ইরাক, তুরস্ক ও আফগানিস্তানে প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইসলামি জাগরণের ঢেউয়ের ছোঁয়া বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আর এটা ইসলামি বিপ্লবের অর্জনের একটি অংশ মাত্র।

তিনি বলেন: ইরানের ইসলামি বিপ্লব বিশ্বের মুসলিম ও অমুসলিম নির্বিশেষে সকলের মনে আশার আলো জাগিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইরানে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শাসন ব্যবস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জন্য আদর্শে রূপান্তরিত হয়েছে।

তিনি বলেন: শত্রুরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা যেকোন পদক্ষেপ নিতে পিছুপা হবে না। ইসলামি বিপ্লব আমাদেরকে যে শিক্ষাগুলো দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে শত্রুকে চেনা। যেটা প্রজন্মের পর প্রজন্ম অব্যাহত রাখা আমাদের দায়িত্ব। ইসলামের শত্রুদের মিত্রদেরকে চিনতে হবে এবং তাদের ষড়যন্ত্রকে চিহ্নিত করতে হবে। মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান, জাতীয় ঐক্য রক্ষা এবং সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনা অনুসরণের মাধ্যমেই ইসলামি প্রজাতন্ত্রের টেকসই হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব।

তার সংযোজন: উৎপাদন, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি, জাতীয় ঐক্য রক্ষা এবং সহানুভূতিশীল কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের ঘাটতিগুলো পূরণে আমাদেরকে আরো বেশী সোচ্চার হতে হবে।#