৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়। পাশ্চাত্যের মিডিয়া এবং পশ্চিমা বিভিন্ন মহল তাদের সমাজে নারীর স্বাধীনতার কথা বলে, কিন্তু আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ করি তাহলে ভিন্ন রূপ দেখতে পাব। পার্সটুডে জানিয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা শুধু যে পুরুষতান্ত্রিক তাই নয়, বরং একইসাথে নারীর মর্যাদাসহ অন্য মানবিক মূল্যবোধের চেয়ে পুঁজি এবং মুনাফাকেই অগ্রাধিকার দেয়।
পশ্চিমা পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নারীরা দুটি প্রধান উপায়ে শোষিত হয়: কাজের ক্ষেত্রে এবং পরিচয়ের ক্ষেত্রে।
কর্মক্ষেত্রে, একই কাজ করার জন্য নারীদেরকে পুরুষদের তুলনায় কম বেতন দেওয়া হয়। এই লিঙ্গ বৈষম্য কেবল কর্মক্ষমতার পার্থক্যের কারণে নয় বরং মূল কারণ হচ্ছে নারীদেরকে তারা কেবল সস্তা শ্রম হিসেবে দেখে।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, শিল্প বিপ্লবের সময় এই একই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা নারীদের তাদের ঘরবাড়ি এবং ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে বের করে এনে কারখানায় কাজ করতে বাধ্য করেছিল, ঠিক একইভাবে এই ব্যবস্থা স্থানীয় আফ্রিকানদেরও শোষণের ব্যবস্থা করেছিল।
কিন্তু পরিচয়ের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও জটিল। পশ্চিমা ভোগবাদী সংস্কৃতিতে, নারীরা পুরুষের আনন্দের পণ্যে পরিণত হয়েছে। বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন শিল্প এবং যৌন শিল্প নারীদের যৌন আকর্ষণের দিকে এতটাই ঠেলে দেয় যে, এমনকি চাকরির বিজ্ঞাপনেও তাদের দক্ষতার চেয়ে তাদের শারীরিক আকর্ষণকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
আজ, OnlyFans-এর মতো পশ্চিমা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে নারীদের শরীরের মূল্য বেধে দেয় এবং তাদের প্রতিভাকে উপেক্ষা করে। এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল নারীর মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ন করে না বরং মাতৃত্বের গুরুত্বকেও ধ্বংস করে দেয় যা নারীদের অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা।
ফলাফল কী?
পশ্চিমা নারীরা, সামাজিক মর্যাদা লাভের জন্য, পুঁজিবাদী পুরুষদের দ্বারা নির্ধারিত মানদণ্ড বা কাঠামো অনুসারে নিজেদের পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। তবে, পশ্চিমারা এই প্রক্রিয়াটিকে "সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে এসে নারীর মুক্তি" বলে দাবি করে। কিন্তু এটা কি সত্যিই স্বাধীনতা মুক্তি কিংবা সমতা?
অবশ্যই, এই মানদণ্ড বা কাঠামোর সমালোচনা করার অর্থ পশ্চিমা সমাজে নারীদের প্রচেষ্টা এবং সাফল্যকে উপেক্ষা করা নয়। অনেক নারী, মেয়ে এবং মা, বিদ্যমান বাধা সত্ত্বেও বৈজ্ঞানিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। #
342/
Your Comment