১৬ মার্চ ২০২৫ - ২৩:৪০
Source: Parstoday
ইসরাইলি বসতি নির্মাণে সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অংশগ্রহণ

পার্সটুডে - লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার জোর দিয়ে বলেছেন যে এই দেশকে রক্ষা করা দক্ষিণ লেবাননকে রক্ষা করার উপর নির্ভর করে। তিনি বলেন: "লেবাননিরা কোনও পরিস্থিতিতেই তাদের ভূখণ্ডের এক ইঞ্চিও ছাড়বে না।"

লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবি বেরি সম্প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে এ অঞ্চল ও তার দেশের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, লেবানন যেকোনো পরিস্থিতিতে এবং যেকোনো চাপের মুখে তার ভূখণ্ডের এক ইঞ্চিও ছাড় দেবে না এবং সার্বভৌম অধিকার প্রশ্নে পিছু হটবে না। পার্সটুডে-র মতে, নাবি বেরি এই বিষয়ে বলেছেন: "লেবাননকে রক্ষা করার জন্য দেশের দক্ষিণকে রক্ষা করা প্রয়োজন এবং এটি একটি ব্যাপক জাতীয় দায়িত্ব এবং এটা অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে হতে হবে, মতবিরোধ ও বিভাজনের মাধ্যমে নয়।"

নাবি বেরী এমন সময় এসব বক্তব্য দিয়েছেন যখন ইসরাইল সরকার চুক্তি ও যুদ্ধবিরতি লঙ্ন  করে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্র থেকে দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। আজ রবিবার সকালে, দক্ষিণ লেবাননের ইয়াতের গ্রামে একটি গাড়ি ইসরাইলি ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, যার ফলে একজন শহীদ এবং অন্য আরেকজন আহত হন। এর আগে, আল-নূর রেডিও জানিয়েছে যে একটি ইসরাইলি যুদ্ধজাহাজ দেশটির দক্ষিণে রাস আল-নাকোরার কাছে লেবাননের জলসীমার দিকে বড় আকারে গুলিবর্ষণ করেছে। এছাড়াও, ইসরাইলি সেনাবাহিনী রুয়াইসাত আল-আলমে তাদের ঘাঁটি থেকে কাফর শুবা শহরে হামলা  চালিয়েছে।

গাজায় শহীদের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে

এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৪৮,৫৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে সম্প্রতি ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২ জন শহীদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং গত ৪৮ ঘন্টায় ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হামলায় ৭ জন শহীদ হয়েছেন এবং ২৬ জন আহত হয়েছেন।

গাজার হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ার অবস্থায় রয়েছে

গাজা সিভিল ডিফেন্স অর্গানাইজেশনের মুখপাত্র আরও বলেছেন যে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে, তিনি আরও বলেন: "এই উপত্যকার হাজার হাজার ভবন ফাটল থাকায় ধসে পড়ার অবস্থায় রয়েছে।"

ইসরাইলি বসতি নির্মাণে ৩টি আরব দেশের অংশগ্রহণ

এই অঞ্চলের মুসলিম জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞ এমন এক সময় অব্যাহত রয়েছে যখন সংবাদ সূত্রে জানা গেছে যে তিনটি আরব দেশ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি নির্মাণের ইসরাইলি ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত। এই প্রসঙ্গে, মিডল ইস্ট আই একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার এই তিনটি দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের মালিকানাধীন এবং তার পরিচালিত একটি কোম্পানিকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কুশনারের কোম্পানির ইসরাইলি ফিনিক্স কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে, যে কোম্পানির পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী বসতি নির্মানে ভূমিকা রয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং কিছু আরব দেশ অর্থাৎ (সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান) এর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তিতে কুশনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

জোলানি সরকারের সাথে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ইসরাইল

শনিবার ইসরাইলি দৈনিক "মা'আরিভ" জানিয়েছে: গোলান মালভূমির উপর সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ত্যাগের বিনিময়ে জোলানি সরকার ইসরাইলের সাথে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করবে।

প্রতিরোধের অস্ত্র নিয়ে কোনো আলোচনা নয়

একই সময়ে, ফিলিস্তিনি ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন "হামাস" এর রাজনৈতিক ব্যুরোর একজন সদস্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার কথা উল্লেখ করে ঘোষণা করেছেন যে প্রতিরোধের অস্ত্র নিয়ে কোনও পরিস্থিতিতেই আলোচনা হবে না। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম শনিবার আল জাজিরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন: "দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সিদ্ধান্তে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমরা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্র নিয়ে কোনো আলোচনা করব না।"#

342/

Your Comment

You are replying to: .
captcha