১২ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত জি-সেভেন তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈঠক শেষে বৈশ্বিক বিষয়গুলোর উপর একটি বিবৃতি জারি করা হয়। পার্সটুডের এই প্রবন্ধে এই বিবৃতি থেকে ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
১. ইউক্রেনের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য কিয়েভের অব্যাহত উস্কানি সত্ত্বেও গ্রুপ ৭ এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের দীর্ঘমেয়াদী সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি অর্জনের চলমান প্রচেষ্টার প্রতি স্বাগত জানিয়েছে। বিশেষ করে ১১ মার্চ সৌদি আরবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে গ্রুপ-সেভেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "জি-৭ সদস্যরা তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির প্রতি ইউক্রেনের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেছেন।"
২. রাশিয়াকে হুমকি
জি-৭ সদস্যরা রাশিয়ার প্রতিও সমান শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এবং তা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। তারা রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছে যে যদি তারা এই ধরনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তবে তাকে আরও চড়া মূল্য দিতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে আরও নিষেধাজ্ঞা,তেলের দামের সীমাবদ্ধতা,সেইসাথে ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তা এবং বাজেয়াপ্ত রাশিয়ান সম্পদ থেকে অপ্রত্যাশিত লাভ ব্যবহারের মতো অন্যান্য সরঞ্জাম।
৩. গাজায় হস্তক্ষেপ
এই বিবৃতির আরেকটি অংশে পশ্চিম এশীয় ইস্যুতে জি-সেভেনের সদস্যরা সব ইহুদিবাদী বন্দিকে মুক্তি এবং মৃতদেহ তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। গ্রুপ সেভেন পুনর্ব্যক্ত করেছে যে গাজার ভবিষ্যত নির্মাণে হামাস কোনও ভূমিকা পালন করতে পারবে না এবং ইসরাইলের জন্য আর হুমকি তৈরি করতে পারবে না।
৪. ঐক্যবদ্ধ চীনের বিরোধিতা
বিবৃতিতে জি-সেভেন সদস্যরা তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে এবং সেইসঙ্গে আন্তঃপ্রণালী সমস্যাগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া, গ্রুপ সেভেন নেতারা বলপ্রয়োগ বা ভয় দেখানোর মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যেকোনো একতরফা প্রচেষ্টার বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে তাইওয়ানের অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকেও সমর্থন জানিয়েছে।
৫. ইরানকে অভিযুক্ত করা
এক বিবৃতিতে গ্রুপ সেভেন সদস্যরা দাবি করেছে, ইরান এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস এবং এই দেশটিকে কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না। তারা জোর দিয়ে বলেছে যে ইরানকে এখন পথ পরিবর্তন করতে হবে, উত্তেজনা কমাতে হবে এবং কূটনীতির পথ বেছে নিতে হবে। এদিকে, দাবির জবাবে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেছেন, "কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাম্প্রতিক বৈঠকের বিবৃতিতে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সম্পর্কে যেসব দাবি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং প্রতারণামূলক।"
/342
Your Comment