১৬ মার্চ ২০২৫ - ২৩:৪১
Source: Parstoday
রাতের অন্ধকারে ইয়েমেনে মার্কিন ও ব্রিটেনের হামলা; হামলাকারীদের শাস্তি হবে বেদনাদায়ক: সানা

পার্সটুডে - বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চলে অসহায় মানুষের ঘরবাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে।

রবিবার সকালে আল-মায়াদিন টিভির খবরে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের রাজধানী সানার জারবান এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। হানাদাররা মারিব প্রদেশের মাজ্জার, আল-বায়দা প্রদেশের মাকিরাস এবং আল-কুরাইশিয়া, হাজ্জাহ প্রদেশের মুবিন, আল্লাফ অঞ্চল এবং ইয়েমেনের সাদার সাখার জেলায় জনগণের বাড়িতে বোমা হামলা চালায়। পার্সটুডে জানিয়েছে, সানা এবং সাদা প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জন হতাহত হয়েছেন।

ইয়েমেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদ বলেছে, আক্রমণকারীদের শাস্তি বেদনাদায়ক হবে

এই হামলার প্রতিক্রিয়ায়, ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে: "বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা আমেরিকার দুর্বলতারই প্রকাশ এবং এই পদক্ষেপ আমাদের গাজাকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না বরং পরিস্থিতিকে আরও কঠিন এবং জটিল করে তুলবে।" ইয়েমেনের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিল জোর দিয়ে বলেছে: "আক্রমণকারীদের শাস্তি হবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক।"

ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসন বিনা জবাবে পার পাবে না

এই প্রেক্ষাপটে, ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যালয় এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে উত্তর সানার বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসনের পাল্টা জবাব দেয়া হবে। আমাদের বাহিনী প্রতিশোধ নিতে এবং বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ আক্রমণ আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন: সানার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ইয়েমেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ঘোষণা করেছে: "বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশদের আক্রমণ ইয়েমেনের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।" মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে যে এই লঙ্ঘন এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন লোহিত সাগরে শান্তি ফিরে এসেছে এবং ইয়েমেনের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো কেবল ইসরাইলি জাহাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা ধর্মীয় দায়িত্ব: ইয়েমেনের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ

ইয়েমেনি উলামা কাউন্সিল এই হামলার নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ আগ্রাসনের মোকাবেলা করা এবং তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ধর্মীয় কর্তব্য এবং ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইয়েমেনি উলামা কাউন্সিল গাজার জনগণকে সাহায্য ও সমর্থন করাকে একটি ইসলামী দায়িত্ব এবং অ-আলোচনাযোগ্য বিষয় বলে মনে করে যেটাকে চাপ, হুমকি, বিমান হামলা এবং মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ করে প্রভাবিত হবে না।

ইয়েমেনি সেনাবাহিনী জবাব দিতে প্রস্তুত

আল-মায়াদিন নেটওয়ার্ক, সানায় তাদের সংবাদদাতার উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ইয়েমেনি সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে মার্কিন ও ব্রিটিশ বিমান হামলার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।#

342/

Your Comment

You are replying to: .
captcha