আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ২৪ যিলহজ্ব গৌরবময় মুবাহিলার দিবস অর্থাৎ সত্যের দলিল ও ইসলাম বিজয়ের দিন এবং আয়াতে তাতহির নাযিলের দিন।
নাজরানিদের সাথে মহানবী (সা.)-এর মুবাহিলার ঘটনা ইসলামের ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আশ্চর্যজনক ঘটনাসমূহের অন্তর্ভুক্ত। যদিও কতিপয় মুফাসসির ও ইতিহাসবিদগণ এ মহাঘটনার যাবতীয় দিক বর্ণনা এবং তা বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে অবহেলা প্রদর্শন করেছেন, তথাপিও অনেকেই, যেমন আল-কাশশাফ গ্রন্থে আল্লামা যামাখশারী (১ম খণ্ড, পৃ. ২৮২-২৮৩), আল-কামিল ফীত তারিখ গ্রন্থে (২য় খণ্ড, পৃ. ১১২) ইবনে কাসীর এবং তাফসীর গ্রন্থে (মাফাতিহুল গাইব, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৭১ ও ৪৭২) ইমাম ফখরুদ্দীন আররাযী এ ব্যাপারে লিখেছেন।
فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৬১
আল্লামা যামাখশারী বলেন
মহানবী (সা.) শুধুমাত্র চারজন বিশেষ ব্যক্তিত্বকে ঐতিহাসিক ঘটনায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত করেন। এ চার ব্যক্তি হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (আ.), হযরত ফাতিমা (আ.), হযরত হাসান (আ.) ও হযরত হুসাইন (আ.) ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। কারণ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মধ্যে তখন এ চার জনের ঈমান অপেক্ষা পবিত্রতর ও দৃঢ়তর ঈমানের অধিকারী কোন মুসলমানই ছিলেন না।
তিনি শিশু ইমাম হুসাইন (আ.)-কে কোলে নেন এবং ইমাম হাসান (আ.)-এর হাত ধরে এগিয়ে জান। আর হযরত ফাতেমা (আ.) তাঁর পশ্চাতে এবং হযরত আলী (আ.) হযরত ফাতিমার পিছে ছিলেন। এ অবস্থায় তিনি মুবাহিলার ময়দানের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন।
নাজরান প্রতিনিধি দলের নেতারা যখন পারস্পরিক আলোচনায় মশগুল, ঠিক তখনই নবীজি (সা.) তাঁর নূরানী আহলে বাইতকে নিয়ে উপস্থিত হন।
নাজরানের প্রধান ধর্মযাজক তখন বললেন : “আমি এমন সব পবিত্র মুখাবয় দেখতে পাচ্ছি যে, যদি তাঁরা হাত তুলে দুয়া করে মহান আল্লাহর দরবারে সবচেয়ে বড় পাহাড়কে উপড়ে ফেলতে বলেন, তাৎক্ষণিক তাদের দুয়া গ্রহন করা হবে। সুতরাং এসব আলোকিত মুখমণ্ডল এবং সুমহান মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তির সাথে আমাদের মুবাহিলা করা কখনই ঠিক হবে না।
কারণ আমাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয় এবং স্রষ্টার শাস্তি ব্যাপকতা লাভ করে বিশ্বের সকল খ্রিষ্টানকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে পারে। তখন পৃথিবীর বুকে একজন খ্রিষ্টানও অবশিষ্ট থাকবে না, অতপর সকলেই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।



Your Comment