নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে পাকিস্তান, রাশিয়া ও চীন: তেহরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): জাতিসংঘের মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে "যুদ্ধ বন্ধ করার" প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময়, চীনা প্রতিনিধি জোর দিয়ে বলেন যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে আক্রমণ তেহরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

আল জাজিরার মতে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এখন পর্যন্ত তাদের তৃতীয় জরুরি বৈঠক শুরু করেছে, যেখানে ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করা হয়েছে, আন্তোনিও গুতেরেসের বক্তৃতার মাধ্যমে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন: যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য আমাদের অবিলম্বে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাশিয়া: আমরা ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের নিন্দা জানাই।

নিরাপত্তা পরিষদের সভায় রাশিয়ান প্রতিনিধি বলেছেন: আমরা ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপের নিন্দা জানাই। মস্কোর প্রতিনিধি বলেন: "ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি আক্রমণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সম্পূর্ণ অসম্মান প্রদর্শন করে। ওয়াশিংটন ইরানে তাদের আক্রমণের ফলে উদ্ভূত বিপজ্জনক তেজস্ক্রিয় পরিণতির প্রতি উদাসীনতা দেখাচ্ছে।"

তিনি বলেন: "আমেরিকা এবং ইসরায়েল স্ব-নিযুক্ত বিচারক এবং কোনও অপরাধ করতে পিছপা হয় না। আমেরিকা, ইসরায়েলের সাথে, যারা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আসছে, গত রাতে ইরানে আক্রমণ করেছে। আমাদের আমেরিকান সহকর্মীদের কূটনীতিতে কোনও আগ্রহ নেই এবং তারা প্রকাশ্যে জনসমক্ষে এটিকে উড়িয়ে দেয়।"ইসরায়েলের দাবির কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমগ্র বিশ্বব্যাপী দাবি উপেক্ষা করছে, অর্থাৎ সংঘাত বন্ধ করার; তবুও তারা ইরানকে দোষারোপ করছে।

চীন: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা তেহরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চীনের প্রতিনিধি বলেছেন: "আমরা গতকাল ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা জানাই। এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে।  জাতিসংঘের মহাসচিব নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে "যুদ্ধ বন্ধ করার" প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বক্তব্য রাখার সময়, চীনা প্রতিনিধি জোর দিয়ে বলেন যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে আক্রমণ তেহরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে।

পাকিস্তান: আমরা ইরানের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছি।

নিরাপত্তা পরিষদের সভায় পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেন: আমরা ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্রতা প্রত্যক্ষ করছি। অনেক দেশ জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করছে। পাকিস্তান শুরু থেকেই এই বিষয়ে একটি নীতিগত অবস্থান নিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি।বিস্তার রোধকারী সরকারের জন্যও মারাত্মক আঘাত।"

ইসলামাবাদ বলেছে: "আমরা ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই এবং ইরানের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করি; আমরা জাতিসংঘের সনদের ভিত্তিতে দেশটির আত্মরক্ষার বৈধ অধিকারকেও স্বীকৃতি দিই।"