ইরানের আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপকে কোনোভাবেই বন্ধুপ্রতিম ও প্রতিবেশী দেশ কাতারের বিরুদ্ধে বলে গণ্য করা উচিত নয়

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা – আবনা – এর প্রতিবেদন অনুসারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র "ইসমাইল বাগায়ী" কাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে গত রাতের ইরানের হামলার বিষয়ে এক্স নেটওয়ার্কে লিখেছেন: "মার্কিন ঘাঁটি 'আল-উদেইদ'-এ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জাতিসংঘের সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে এবং ২০২২ সালের ২৫ জুন ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের জবাবে পরিচালিত হয়েছে।"

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন যে, "এই আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপকে কোনোভাবেই বন্ধুপ্রতিম ও প্রতিবেশী দেশ কাতারের বিরুদ্ধে বলে গণ্য করা উচিত নয়," এবং বলেছেন: "ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সেই দেশের সাথে তার সুসম্পর্ক ও সুদূরপ্রসারী সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

বাগায়ী বলেছেন যে, "ইরান সর্বদা কাতার এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সুসম্পর্কের নীতি মেনে চলে," এবং যোগ করেছেন: "আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসনের ইরানবিরোধী আগ্রাসী পদক্ষেপ এবং বিদ্বেষপূর্ণ নীতি আমাদের এবং অঞ্চলের আমাদের ভাইদের মধ্যে ফিতনা ও বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবে না।"

ফার্সি মাসের দ্বিতীয় তারিখের সন্ধ্যায়, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত এবং ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পসের খাতামুল আম্বিয়া (সা.) কেন্দ্রীয় সদর দফতরের নির্দেশনা অনুসারে, পবিত্র কোড "ইয়া আবা আবদুল্লাহ আল-হুসাইন (আ.)" দিয়ে "বাশারাতুল ফাতহ" অভিযানে কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটিকে, যা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনাবাহিনীর বিমান বাহিনীর কমান্ড সদর দফতর, একটি ধ্বংসাত্মক ও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু করেছে।