২৪ জুলাই ২০২৫ - ১৪:৫৫
ইসরাইল কোন চুক্তিতে আবদ্ধ ? ইরান তো আইএইএ'র তত্ত্বাবধানে আছে।

জাতিসংঘে ১১০ টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিব আবাদি বলেছেন: ইরানে হামলা করা একটি স্পষ্ট অপরাধ এবং নিরাপত্তা পরিষদের জন্য একটি ঐতিহাসিক পরীক্ষা।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী "কাজেম গারিবাবাদি", নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ১১০ টিরও বেশি সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে, গত আট দশক ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এই অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতার প্রধান হোতা বলে উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন: এটি সেই একই দখলদার যারা এ পর্যন্ত ৩ হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসী অভিযান পরিচালনা করেছে, সত্তর লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে শহীদ করেছে এবং দশ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ইরানি সম্প্রচার সংস্থাটির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইহুদিবাদী ইসরাইলের পারমাণবিক অস্ত্রাগারের বিপজ্জনক প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে বলেন: দখলদার এই শক্তি কোনও নিরস্ত্রীকরণ কিংবা অ-বিস্তার চুক্তির সদস্য নয় এবং তাদের অস্ত্রাগারে শত শত পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।

গারিবাবাদি আরও বলেন: ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি তো সর্বদা শান্তিপূর্ণ ছিল এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কঠোর এবং অবিচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে ছিল। তবু  ইহুদিবাদী ইসরাইল ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইরানের পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে মিথ্যা দাবি করে জনমত এবং মার্কিন সরকারকে বিভ্রান্ত ও প্রতারিত করে আসছে।

ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সাম্প্রতিক হামলার প্রতি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জ্যেষ্ঠ এই কূটনীতিক আরও বলেন: “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ভূখণ্ডে ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের নিন্দা করেছে সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত  তিনটি ইউরোপীয় দেশ, নিরাপত্তা পরিষদ, আইএইএ বোর্ড অফ গভর্নরস এবং এমনকি আইএইএ'র মহাপরিচালক, তাদের আইনি ও নৈতিক দায়িত্ব পালনেই ব্যর্থ হয়নি, বরং নীরবতা বা পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান নিয়ে একটি স্পষ্ট অপরাধের দেখেও চোখ বন্ধ করে রেখেছে।”

গারিবাবাদি সতর্ক করে বলেন: “ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুটি অপশক্তির হামলার শিকার হয়েছে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার সমর্থকরা নিরাপত্তা পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদে একটি নিন্দা প্রস্তাবও জারি করতে বাধা দিয়েছে। সুতরাং গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্নটি ওঠে তা হলো: যদি নিরাপত্তা পরিষদ তার দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান দায়ী?

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha