আহলে বাইত (আ.) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা (আবনা): গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা বাঁচাতে এবং ওই ভূখণ্ডে একটি মানবিক সংকট মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বৈঠক করেন তারা। কারণ মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে যে, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
উইটকফ এমন এক সময় ইসরায়েলে পৌঁছেছেন, যখন গাজার ধ্বংসযজ্ঞ ও সাহায্য সরবরাহে বাধা নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।
ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কান জানিয়েছে, উইটকফ গাজায় একটি সাহায্য বিতরণ কেন্দ্রও পরিদর্শন করবেন।
ক্ষুধার্ত শিশুদের ছবি দেখে আন্তর্জাতিক ক্ষোভের মুখে পড়ে ইসরায়েল বলেছে যে, তারা গাজার কিছু অংশে প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা করে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে এবং খাদ্য ও ওষুধ বহনকারী গাড়িবহরের জন্য নিরাপদ রুট নির্ধারণ করবে।
উইটকফের ইসরায়েল পৌঁছার কিছুক্ষণ পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে পোস্ট করেছেন যে, “গাজায় মানবিক সংকট শেষ করার দ্রুততম উপায় হলো হামাসের আত্মসমর্পণ এবং জিম্মিদের মুক্তি!”
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই গোষ্ঠীগুলো শান্তি প্রচেষ্টা ক্ষুন্ন করছে এমন অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং পিএলও আন্তর্জাতিকভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃত এবং এমন একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রশাসক হিসেবে বিবেচিত, যেটিকে ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং কানাডা সম্প্রতি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে এই মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দুই শীর্ষ মন্ত্রী – প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ এবং বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন – পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। অথচ ইসরায়েল অধিকৃত এই এলাকায় ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গড়তে চায়।
কাতারে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ যুদ্ধবিরতির আলোচনা গত সপ্তাহে অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। কারণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পরিমাণসহ একাধিক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। আর এর জন্য উভয় পক্ষই অগ্রগতির ব্যর্থতার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
দুই বছরের যুদ্ধ চলাকালে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা এই সপ্তাহে ৬০,০০০ ছাড়িয়ে যাওয়ায়, গাজায় হামাসের ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ বাড়ছে।
হামাস এখনও গাজায় ৫০ জন জিম্মি ধরে রেখেছে, যাদের মধ্যে প্রায় ২০ জন জীবিত বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। জিম্মিদের স্বজনরা নেতানিয়াহুর অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে এবং সরকারের কাছে যুদ্ধ শেষ করার দাবি জানিয়েছে।
Your Comment