১৪ আগস্ট ২০২৫ - ০৬:৫৯
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা- কায়রোতে হামাস

যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার আলোচনা এগিয়ে নিতে কায়রো গেছেন হামাস নেতা খলিল আল-হায়া।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হামাস কর্মকর্তা তাহের আল-নোনো বলেছেন, মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বুধবার আলোচনায় বসবেন হামাসের প্রতিনিধিরা। তাদের আলোচনায় থাকবে যুদ্ধের অবসান, সহায়তা প্রদান এবং গাজাবাসীদের ভোগান্তি শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।



জুলাই মাসে হামাস-ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনার (তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতিতে) সর্বশেষ দফা কোনও রকম অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়। মার্কিন সমর্থিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি পরিকল্পনায় অগ্রগতি না হওয়ার জন্য দুপক্ষই পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করেছিল।

মিসর সফরের বিষয়ে অবগত এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনার টেবিলে বসতে হামাস প্রস্তুত রয়েছে। কায়রো সফরে যাওয়া কর্মকর্তারা তাদের এই অবস্থান স্পষ্ট করবেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ বলে বিশ্বাস করে হামাস। এই লক্ষ্য অর্জনে যে কোনও মতবিনিময়ে তাদের আপত্তি নেই।

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দুপক্ষের অবস্থানে এখন পর্যন্ত বিস্তর ফারাক রয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের মাত্রা এবং হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে বিরোধ।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর গাজা সিটির সাময়িকভাবে দখল নিয়েছিল ইসরায়েল। সম্প্রতি আবারও গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা করছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী অক্টোবর নাগাদ গাজায় সামরিক অভিযানের আওতা বৃদ্ধি হতে পারে।

এ পরিকল্পনা গাজার ২২ লাখ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, বাস্তুচ্যুতি ও খাদ্য সংকট নিয়ে বৈশ্বিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

সমালোচনা উঠেছে ইসরায়েলের মধ্যেও। দেশটির সেনাপ্রধান সতর্ক করেছেন, এই অভিযান জীবিত জিম্মিদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং সৈন্যদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও জাপানসহ ২৪ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার মানবিক সংকট অকল্পনীয় মাত্রায় পৌঁছেছে। গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

তবে ইসরায়েল বলছে, খাদ্যসংকটের জন্য তারা দায়ী নয়, বরং হামাস ত্রাণ চুরি করছে। তারা দাবি করেছে, ত্রাণ প্রবাহ বাড়াতে লড়াই সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা ও সুরক্ষিত রুট ঘোষণা করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha