আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ফিলিস্তিনি উপত্যকাটির বৃহত্তম নগরকেন্দ্র গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ দখলের জন্য নতুন আক্রমণের ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পরই এ ঘোষণা এলো।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আভিচায় আদরাই শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো কারেম আবু সালেম বা কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে বাসিন্দাদের তাঁবু এবং অন্যান্য আশ্রয় সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।
জাতিসংঘ এই পরিকল্পনা বা মানবিক সহায়তা প্রদানে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা দখলের ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আসা এই বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীকে হামাসের অবশিষ্ট দুটি শক্ত ঘাঁটি ‘ভাঙা’র জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। যার একটি উত্তরে গাজা সিটি এবং দক্ষিণে আরও আল-মাওয়াসিতে।
জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি ঘোষণার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে বৃহস্পতিবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা এগিয়ে গেলে ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হাজার হাজার পরিবারকে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
এদিকে হামাসের মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এ ঘোষণাকে ‘গাজা সিটি দখলের নৃশংস আক্রমণের অংশ’ এবং ‘আন্তর্জাতিক সম্মেলনের একটি স্পষ্ট এবং নির্লজ্জ উপহাস’ বলে বর্ণনা করেছে।
পিআইজে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ক্ষুধা, গণহত্যা এবং বাস্তুচ্যুতির মধ্যে মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। গাজায় অপরাধমূলক আচরণ দখলকৃত পশ্চিম তীরে দখলদারদের সংঘটিত দৈনন্দিন অপরাধের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য।
গত সপ্তাহে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের উপকণ্ঠে অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছে। জেইতুন এবং শুজাইয়া এলাকার বাসিন্দারা ইসরাইলি বিমান এবং ট্যাঙ্কের তীব্র গুলিবর্ষণের খবর পেয়েছেন।
Your Comment