আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজা সিটির সাবরা, শেজাইয়া, তুফাহ ও উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান হামলায় ঘরবাড়ি ও সড়ক ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গাজার বাসিন্দা ইসমাইল (৪০) বলেন, আমরা একে ভূমিকম্প বলছি। তারা ভয় দেখিয়ে মানুষকে ঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলেছে, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৮ জন গাজা নগরীর আশপাশে। এর আগের দিন খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হন, তাদের মধ্যে রয়টার্স, এপি ও আল জাজিরার সাংবাদিকও ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে রয়টার্সের চুক্তিভিত্তিক চিত্রগ্রাহক হুসাম আল–মাসরিও আছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক ভুল’ হয়েছে বলে মন্তব্য করলেও সেনাবাহিনী এখনও বিস্তারিত জানায়নি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, গাজা সিটিতে তারা অস্ত্র ও হামাসের সুড়ঙ্গ ধ্বংসের অভিযান চালাচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক নিন্দা ও দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝেই নতুন করে গাজা সিটিতে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।
জাতিসংঘ সমর্থিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ইতোমধ্যে ৬২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। প্রায় সমগ্র জনগোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়ে মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। গাজার মোট ২০ লাখ মানুষের অর্ধেক এখনও গাজা সিটিতে অবস্থান করছে।
যদিও অনেকেই পশ্চিম উপকূল ও দক্ষিণে খান ইউনিসের কাছে আল-মুওয়াসি অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছেন।