আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসরায়েলি সেনারা শহরের কয়েকটি সুউচ্চ ভবন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে একটি ১২ তলা এবং একটি পাঁচতলা ভবন রয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা এখন গাজা নগরীর ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। হামলার আগে নগরীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করতেন। গত মাসের শুরুতে পুরো নগরী দখলের ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। ঘোষণার কিছুদিনের মধ্যে বিমান ও গোলা হামলা শুরু হয়, যা ধীরে ধীরে নগরীর কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
গাজা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের হামলায় অন্তত ৬৯ জন নিহত ও ৪২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছেন।
ইসরায়েলের দাবি, ম্যানেজমেন্ট অব মুশতাহা টাওয়ারে হামাস যোদ্ধারা অবস্থান করছিলেন। তবে টাওয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে কোনো হামাস সদস্য ছিলেন না, সবাই ছিলেন বেসামরিক ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে, গাজা নগরীর আরেকটি পাঁচতলা ভবনের বাসিন্দাদেরও সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল। কিছু অংশ ইতিমধ্যেই বোমা হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞ ইলাইজা ম্যাগনিয়ার মনে করেন, বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তু করার মূল উদ্দেশ্য হলো নিজেদের সেনাদের হতাহতের সংখ্যা কমানো এবং বেসামরিকদের ভীতসন্ত্রস্ত করা, যাতে তারা নগরী ছেড়ে চলে যায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ জানিয়েছেন, গাজার নরকদ্বারের তালা এখন খুলে ফেলা হয়েছে এবং সামরিক কার্যক্রম আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ৭০০তম দিন পূর্ণ হয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় অন্তত ১৯ হাজার ৪২৪ শিশু নিহত হয়েছে। নিহত শিশুদের মধ্যে নবজাতক ও এক বছরেরও কম বয়সীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। একই সময়ে ১০ হাজার ১৩৮ নারী এবং ৪ হাজার ৬৯৫ বয়স্ক মানুষ নিহত হয়েছেন। গাজায় নিহতদের মধ্যে ৮৩ শতাংশই বেসামরিক মানুষ বলে সাম্প্রতিক ফাঁস হওয়া নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
Your Comment