আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেই ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এই অধিবেশনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সঙ্গে একত্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং একই সঙ্গে ইরানে ইসরায়েলি ও মার্কিন আক্রমণের পর প্রথম বার্ষিক অধিবেশন।
পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, আরাকচি বলেছেন- ইরান জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ১২ দিনের প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময় ইরানি জাতির ন্যায্য প্রতিরোধের ন্যায্যতা এবং তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরবে ।
সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রসঙ্গে আরাকচি বলেন, যদি নিরাপত্তা পরিষদে “স্ন্যাপব্যাক” কার্যকর হয়, তবে ইরানের সঙ্গে আইএইএর সহযোগিতা চুক্তি অকার্যকর হয়ে যাবে এবং সম্পর্ক নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করবে।
তিনি আরও বলেন, তিন ইউরোপীয় দেশের এসব পদক্ষেপ “ধ্বংসাত্মক” কূটনীতির দৃষ্টান্ত এবং ইরান উপযুক্ত জবাব দেবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি শিগগিরই আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
তিনি বলেন, “এটি শেষ পর্যায়ের কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ; বিপরীত পক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ইরানের সঙ্গে সহযোগিতার পথ বেছে নেবে নাকি সংঘাতের।”
আরাকচি জোর দিয়ে বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র কেবল সম্মান ও মর্যাদার ভাষা গ্রহণ করে। ইরান কূটনৈতিক সমাধানের পথ বেছে নিয়েছে এবং তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ইরান এখনো শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে যেতে আগ্রহী, তবে শর্ত হচ্ছে ইরানি জাতির স্বার্থ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি (জেসিপিওএ) থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়ার ফলেই বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যদিও ইরানি জাতির পথ সুস্পষ্ট, আঞ্চলিক স্বার্থ ও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখরতে একটি কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন, ইরান এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
Your Comment