২৩ অক্টোবর ২০২৫ - ০১:০১
কোন দেশ কী করবে তা নির্ধারণের অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেই।

ইসলামিক বিপ্লবের সর্ব্বোচ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে বলেছেন, অন্য কোনো দেশ কী করবে বা করবে না তা নির্ধারণ করার কোনো অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেই।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকিমূলক ও ভিত্তিহীন বক্তব্যকেও নিন্দা করে বলেন, তার সাম্প্রতিক আচরণ লক্ষ্য করা যায়, সে ইসরায়েলের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করছে।”




সর্ব্বোচ নেতা উল্লেখ করেন, ১৯৮০-এর দশকে ইরাকের চাপানো যুদ্ধের সময়, ইরান অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রযুক্ত শত্রুর বিরুদ্ধে, যাকে সব পক্ষ সমর্থন করেছিল, দেশের যুবসমাজের সামরিক কৌশলের মাধ্যমেই বিজয় অর্জন করা সম্ভব হয়েছি।।


তিনি আরও বলেন, জুনে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্রাসনে, ইরান ইসরায়েলের চরম ধাক্কা দিয়েছে এবং তাদের হতাশ করেছে।


আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, “ইসরায়েল ভাবেনি যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, তাদের আগুন ও শিখার সঙ্গে তাদের সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে এবং ধ্বংস করতে পারে।” 


তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কোথ থেকে কিনেছে বা ভাড়া নেয়নি। এগুলো দেশের যুবসমাজ দ্বারা তৈরি হয়েছে।


তিনি বলেন, “এই ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও সামরিক শিল্প দ্বারা প্রস্তুত ও ব্যবহার করা হয়েছে, এবং এখনো তাদের কাছে আছে। প্রয়োজনে, আবার ব্যবহার করা হবে।”


এছাড়াও সর্ব্বোচ নেতা ট্রাম্পের গাজার হত্যাযজ্ঞে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার স্বীকৃতি উল্লেখ করে বলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েল অপরাধের প্রধান অংশীদার, কারণ যুদ্ধের সময় গাজার নিরস্ত্র মানুষের ওপর ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো আমেরিকা সরবরাহ করেছে।


আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী ট্রাম্পের “সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই” সংক্রান্ত দাবি মিথ্যা হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, “গাজার যুদ্ধে ২০,০০০-এর বেশি শিশু ও শিশুকন্যা শহীদ হয়েছে। তারা কি সন্ত্রাসী ছিল? প্রকৃত সন্ত্রাসী হল যুক্তরাষ্ট্র, যা আইএস সৃষ্টি করেছে, অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়েছে এবং আজও কিছু সদস্যকে নিজের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় রেখেছে।”

“ট্রাম্প নিজেকে চুক্তি স্থাপনকারী হিসেবে বর্ণনা করেছে, কিন্তু যদি চুক্তি জোরপূর্বক হয়, তা চাপ ও হুমকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা ইরানীয় জাতি মানতে পারে না”।


আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও জোর দেন, পশ্চিম এশিয়া তার জনগণেরই এবং অঞ্চলে যুদ্ধ ও মৃত্যু মার্কিন উপস্থিতির ফল।


তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধপ্রিয় যা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এবং যুদ্ধ উস্কে দেয়। না হলে, এই সমস্ত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো এখানে কেন? আপনি এখানে কী করছেন? এই অঞ্চলের সঙ্গে আপনার কী সম্পর্ক?”

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha