আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা):“গাজার নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ওমান যে মানবিক ও ইসলামী অবস্থান নিয়েছে, তা অত্যন্ত মূল্যবান।
মুসলমান হিসেবে আমরা এ সহানুভূতি ও সমর্থনকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি। যদি সব ইসলামি দেশ একইভাবে গাজার জনগণকে সমর্থন জানাত, তাহলে এই অঞ্চলে এমন দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।”
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ইসলামি উম্মাহর ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মুসলিম দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যই টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার ভিত্তি। তিনি আশা করেন, ওমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
“ইরান ওমানের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। এই সফর সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী,” বলেন পেজেশকিয়ান।
ওমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামুদ বিন ফয়সাল আল বুসায়দি ইরান সফর ও প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ইরান ও ওমানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও বিশেষ। এটি গভীর ও আন্তরিক—এতে কোনো সন্দেহ নেই। পাঁচ মাস আগে আপনার মাসকাট সফর এবং তখন অর্জিত মূল্যবান চুক্তি ও সমঝোতাগুলো দুই দেশের সহযোগিতার একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে, বিশেষ করে ওমানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে যে গঠনমূলক অবস্থান নিয়েছে, তা গত কয়েক দশক ধরে অবিচল রয়েছে। ওমানও সেই একই ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে সম্পর্ক বজায় রেখেছে।”
সাক্ষাৎকারের শেষে ওমানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আশা করি, দুই দেশের উৎকৃষ্ট ও দৃঢ় সম্পর্ক ভবিষ্যতেও একই শক্তি ও অঙ্গীকার নিয়ে অব্যাহত থাকবে। আমরা এই সম্পর্ককে আরও গভীর ও দৃঢ় করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
Your Comment