আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হযরত আলী (আ.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এরুপ গৃহিত হয়: জান্নাতের নিশ্চয়তা জুমার নামাজ কেবল সাপ্তাহিক ইবাদত নয়; এটি জান্নাতে পৌঁছানোর এক বরকতময় আহ্বান।
আরো উল্লেখ হয়েছে, যে ব্যক্তি জুমার নামাজে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় এবং সেই অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে সে জান্নাতবাসী।
আমিরুল মু’মিনিন ইমাম আলী (আ.) বলেছেন:
ضَمِنْتُ لِسِتَّةَ عَلَی اللّهِ الْجَنَّةَ، مِنْهُمْ رَجُلٌ خَرَجَ إِلَی الْجُمُعَةِ فَماتَ فَلَهُ الْجَنَّةُ
অর্থাৎ “আমি ছয় শ্রেণির মানুষের জন্য আল্লাহর নিকট জান্নাতের নিশ্চয়তা দিয়েছি, তাদের একজন সেই ব্যক্তি, যে জুমার নামাজে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয় এবং সেই অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—তার জন্য জান্নাত নিশ্চিত।”
[ওয়াসায়েলুশ শিয়া, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ১১]
এই হাদীস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—জুমার নামাজ কেবল আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়, এটি এমন এক মহিমান্বিত সুযোগ, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি, জান্নাতের প্রতিশ্রুতি এবং চিরন্তন শান্তির পথ উন্মুক্ত করে। যে ব্যক্তি আন্তরিক নিয়তে নামাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়, তার প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর নিকটে পুরস্কৃত হয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দাদের বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! যখন জুমার দিন নামাজের জন্য আহ্বান করা হবে, তখন তোমরা দ্রুত আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝতে পার।
(সুরা জুমা, আয়াত :০৯)
 
             
             
                                         
                                         
                                         
                                        
Your Comment