আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আরএসএফ ২০২৩ সাল থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর সাথে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। এই সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ১৭ মাস অবরোধের পর গত রোববার (২৬ অক্টোবর) দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি এল-ফাশার দখল করে নেয় আরএসফ।
 সুদান সরকার জানায়, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধরত র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ‘এল-ফাশার শহরে নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে।’
 
 সরকারি তথ্য মতে, ‘গত রোববার থেকে সোমবার পর্যন্ত ২ হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক’। এদিকে ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো বলে, তারাও আরএসএফের নৃশংসতার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছে।
 
 সংস্থাগুলোর তথ্য মতে, সংক্ষিপ্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড, পালানোর পথে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ, বাড়ি বাড়ি অভিযান এবং নারী ও তরুণী মেয়েদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এসব তথ্য সামনে আসার পর আঞ্চলিক দেশগুলো বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
 
 মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সৌদি আরব বলেছে, তারা ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং নিন্দা ‘ প্রকাশ করছে। বিবৃতিতে সুদানের বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য দায়িত্ব পালনের জন্য আরএসএফের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ মিশর ‘সুদানজুড়ে অবিলম্বে একটি মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণের’ আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশটিকে বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠতে ‘সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান’ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
 
 তুরস্ক এল-ফাশারে অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একই সাথে ‘নিরাপদ পথ, মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছে। কাতারও এল-ফাশারে ‘ভয়াবহ আইন লঙ্ঘনের‘ নিন্দা জানিয়েছে এবং সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।
 
             
             
                                         
                                         
                                         
                                        
Your Comment