আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): হযরত যয়নাব (সা.আ.)-এর জন্মবার্ষিকীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে, "যায়নাবিয়্যাহ মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র" আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা হয়।
তুরস্কের ভেতর ও বাইরের অতিথিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব এবং বিশ্বাসের ধারণার উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
বিখ্যাত ইরানি কারী আবুল কাসেমির পবিত্র কোরআনের আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। অনুষ্ঠানে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ এবং রিপাবলিকান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ওজগুর ওজিল সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট প্রতিনিধিরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে:
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সর্ব্বোচ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর প্রতিনিধি- হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন সাইয়্যেদ আলী গাজী আসকার;
আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর প্রতিনিধি: ড. মাসউদ মাকারেম শিরাজী;
আয়াতুল্লাহ জাওয়াদ আমোলির প্রতিনিধি: হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন সাইয়্যেদ সুলেইমান মুসাভি;
আয়াতুল্লাহ বশির নাজাফীর প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন: মোহাম্মদ তারাফী;
আয়াতুল্লাহ ইয়াকুবির প্রতিনিধি হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন শেখ নাসরুল্লাহ;
ওয়ার্ল্ড শিয়া স্টাডিজ ফোরামের সভাপতি ডঃ আয়াত পেইমান; প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ সাফি গোলপাইগানি, হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন মিরদামাদি, এবং ... অনুষ্ঠানে ইরাক ও লেবাননের অতিথিরা, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রধান ও পরিচালক এবং হাজার হাজার আহলে বাইত (আ.) প্রেমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

কারবালার ৭২ জন শহীদের স্মরণে নির্মিত এই মসজিদটিতে ৭২,০০০ বর্গমিটার আচ্ছাদিত স্থান রয়েছে এবং উঠোন সহ, একই সাথে ৪০,০০০ মানুষের নামাজ পড়ার ক্ষমতা রয়েছে। এই মসজিদের নির্মাণ কাজ ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল এবং বিভিন্ন কেন্দ্র এর নির্মাণ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করেছে।
Your Comment