আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার হিজবুল্লাহর কথিত সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দিনের শুরুতে হামলায় একজন নিহত হওয়ার পর বিকেলের বোমা হামলায় একজন আহত হয়েছেন।
ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আভিচায় আদরাই গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় বাসিন্দাদের অন্য কোথাও সরিয়ে নিতে নির্দেশ জারি করেন।
মানচিত্রে আইতা আল জাবাল, আল তাইয়িবা এবং তাইর দেব্বা গ্রামের ভবনগুলো দেখানো হয়েছে। যেখান থেকে স্থানীয়দের সরানোর কথা বলা হয়।
দক্ষিণের অন্যান্য শহরের জন্য আরও দুটি আদেশ পরে দেওয়া হয়। আদেশের প্রায় এক ঘণ্টা পরে বিমান হামলা শুরু হয়, যার ফলে আকাশে ঘন ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। এদিকে লেবাননে ইসরাইলের পূর্ণাঙ্গ বিমান হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।
বিশেষ করে ইসরাইলি নেতারা সতর্ক করার পর যে, তারা হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার প্রচেষ্টা জোরদার না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহ জানায়, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইসরাইলকে প্রতিরোধ করার বৈধ অধিকার তাদের আছে। তারা সম্পূর্ণরূপে নিরস্ত্রীকরণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তবে দক্ষিণে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় বাধা দেয়নি এবং গত বছর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের ওপর গুলি চালায়নি।
এদিকে মধ্য এশিয়ার নেতার সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, গাজার সমস্যা নিয়ে খুব বেশি কিছু শোনা যাচ্ছে না। যদি ফিলিস্তিনির সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয় সেজন্য শক্তিশালী দেশগুলো স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছে।
গাজা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যখন একটি অন্তবর্তী শাসন সংস্থা ও স্থিতিশীলতা বাহিনীর জন্য দুই বছর মেয়াদি ম্যান্ডেট অনুমোদনের আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তখনই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো।
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর দায়িত্ব হবে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীতে মিসর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সৈন্যরা থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে- মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক গাজা নিয়ে যে খসড়া রেজ্যুলেশনটি দেখেছে তা ২০ হাজার সৈন্যের একটি স্থিতিশীল বাহিনীকে তার ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুমতি দেবে। অর্থাৎ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনীর বল প্রয়োগের অধিকার থাকবে।
Your Comment