আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনার দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে প্রতিক্রিয়ার জন্য আহ্ববান জািনিয়েছে।
ক্যাম্পাসে নামাজ পড়ার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম ছাত্র সমিতির সদস্যদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
►আল-আজহারের বিবৃতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে যেখানে তিনজন ব্যক্তি নামাজের সময় শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে উস্কানিমূলক ও অপমানজনক আচরণে লিপ্ত হয়।
►আক্রমণকারীদের একজনকে শিক্ষার্থীদের সামনে শুয়োরের মাংস খেতে দেখা গেছে, অন্যরা তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করে আক্রমণ করেছে।
►মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, হামলায় হিজাব পরা এক ছাত্রীর উপর চিৎকার করা, তার মাথার স্কার্ফ খুলে ফেলার হুমকি দেওয়া এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করা হয়।
মুসলিম ছাত্র সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি জমা দিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা জোরদার করা, ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা, একটি আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা এবং উপাসনার জন্য একটি নিরাপদ স্থান নির্ধারণের দাবি জানানো হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আল-আজহার অবজারভেটরি জোর দিয়ে বলেছে যে এই ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড শিক্ষামূলক পরিবেশকে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ এবং সম্মানজনক স্থান হওয়া উচিত, হুমকি এবং ভীতি প্রদর্শনের স্থানে পরিণত করে।
প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত এবং স্বচ্ছভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে আহ্বান জানিয়েছে, স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে রীতিনীতি এবং ধর্মের স্বাধীনতা একটি আইনি অধিকার এবং তদন্ত বিলম্বিত করলে ভুক্তভোগীদের ভয় আরও বাড়বে।
Your Comment