১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৯:৫৩
বায়রন ঝড়ে বিপর্যস্ত গাজা

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উপত্যকার বাসিন্দাদের জীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ‘বায়রন’ ঝড়ের কারণে গাজায় ঘরবাড়ি, দেওয়াল ও তাঁবু ধসে পড়ে শিশুসহ অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।




তীব্র শীতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা সিটি কর্তৃপক্ষ। 


গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে উত্তর গাজার বির আন-নাজা এলাকায় বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেওয়া একটি বাড়ি ঝড়ে ধসে পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। একইদিন ভোরে গাজা সিটির রেমাল এলাকায় একটি দেওয়াল ভেঙে তাবুর ওপর পড়ে আরও দুইজন নিহত হন। এর আগের দিন শাতি শরণার্থী শিবিরে একটি কাঠামো ধসে একজন মারা যান। আল-মাওয়াসিতে প্রচণ্ড ঠান্ডায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক ইব্রাহিম আল-খালিলি জানান, ঝড়টি আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে মৃত্যুফাঁদে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, আজও বন্যা, ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের কারণে ৭৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে।
 
তিনি বলেন, ‘কর্মকর্তারা সতর্ক করছেন যে বন্যা, ভারী বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে, যা আজও অব্যাহত থাকবে। এটি ৭৬১টি স্থানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় সাড়ে ৮ লাখ মানুষকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার মধ্যে বহু শিশু রয়েছে।

এখানে, ভারী বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে তাঁবুগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, পরিবারগুলো তাদের অস্থায়ী আশ্রয়গুলো ধ্বংসের সম্মুখীন।’

উপকূলরেখার বড় অংশ ধসে পড়েছে, সমুদ্র থেকে কয়েক মিটার দূরে পাতা তাঁবুগুলোকে আরও বিপন্ন করছে। আল-খালিলি বলেন, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ থেকে বাঁচতে স্থান থেকে স্থানান্তরে বাধ্য হওয়া পরিবারগুলো এখন ‘অতিরিক্ত চাপের’ মুখোমুখি।

তিনি বলেন, ‘তাঁবুগুলো ভেঙে পড়ছে; ঠান্ডা অসহনীয়। আসলে, তাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। যা ঘটছে তা বিপর্যয়কর।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি কেবল একটি ঝড় নয়; যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার পরেও এটি বাস্তুচ্যুতির এক নতুন ঢেউ। এখানকার অনেকেই আমাকে বলেছেন, এই বন্যার পরে সত্যিই নতুন যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং মানুষ তাদের দুর্বল আশ্রয়গুলো ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।’

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha