আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাক সরকারের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণে সে দেশে সফরের সময়, বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে মার্কিন আগ্রাসী ও সন্ত্রাসী বাহিনীর বিমান হামলায় শহীদ হন।
এই ঘটনায় ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স (হাশদ আশ-শা‘বি)-এর উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিস ও তার আরও আটজন সঙ্গী শাহাদাত বরণ করেন।
পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক জর্জিও কাফিরো; ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে এক সাক্ষাৎকারে বলে, জেনারেল সোলাইমানিকে ইরান ও অঞ্চলের কিছু অংশে দায়েশ (আইএস)-এর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক প্রতিরোধযোদ্ধা হিসেবে দেখা হতো এবং তার হত্যাকাণ্ড তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপের সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছে।
কাফিরো আরও বলে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে আগ্রাসনকে সমর্থন দেওয়া প্রকৃতপক্ষে পারমাণবিক বিস্তার নিয়ে বাস্তব উদ্বেগ থেকে নয়; বরং তা সম্প্রসারণবাদী উদ্দেশ্য এবং ইরানকে দুর্বল করার লক্ষ্যে পরিচালিত।
কাফিরো জোর দিয়ে বলে, ইসরায়েলের লক্ষ্য ছিল ইরানকে লেবানন বা সিরিয়ার মতো একটি দুর্বল ও নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রে পরিণত করা। ২০২৬ সালে আবার যুদ্ধ শুরু করার প্রচেষ্টা এখনো রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
এই মার্কিন বিশ্লেষক বলে, এ ধরনের একতরফা ও বিশৃঙ্খল আচরণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দায়িত্বশীল খেলোয়াড় হিসেবে ওয়াশিংটনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে দুর্বল করেছে।
পশ্চিম এশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো সকল দেশের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইরান ও আমেরিকাসহ সকল অভিনেতার মধ্যে সদ্বিবেচনাভিত্তিক কূটনীতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
কাফিরো বলে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পদক্ষেপের জবাবে ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, যার মধ্যে সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও রয়েছে, জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এবং যেকোনো আগ্রাসনের মোকাবিলায় তেহরানের প্রস্তুতিরই প্রতিফলন।
Your Comment