(ABNA24.com) এখানেই লেঃ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাযার নামাজ পড়াবেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। এরইমধ্যে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে জানাযার নামাজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জানাযা শেষে শহীদ সোলাইমানিসহ মার্কিন সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ বাকি যোদ্ধাদের লাশ তেহরানের ইনকিলাব চত্বর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আযাদি স্কয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে এই বীর কমান্ডারের মরদেহ ইরানের দক্ষিণে ধর্মীয় নগরী কোমে নেয়া হবে।
কোম নগরীতে নামাজে জানাযা শেষে জেনারেল সোলাইমানির লাশ আগামীকাল (মঙ্গলবার) তার জন্মস্থান কেরমান প্রদেশে নেয়া হবে এবং সেখানে শেষ জানাযার নামাজান্তে তার ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে গতরাতে শহীদ সোলাইমানির মরদেহ মাশহাদ থেকে তেহরানে এসে পৌঁছায়।
গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা।
ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন শহীদ হন।এসব বীর শহীদের মরদেহ শনিবার ইরাকের কাজেমাইন, বাগদাদ, কারবালা ও নাজাফ শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং আলাদা আলাদা নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণ করেন লাখ লাখ ইরাকি নাগরিক। এরপর এসব শহীদের মরদেহ রোববার ভোররাতে ইরানে আনা হয়।
প্রথমে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আহওয়াজ এবং এরপর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মাশহাদ শহরে জানাযা শেষে তাদের লাশ গতরাতে তেহরানে পৌঁছায়।প্রতিটি শহরের জানাযার নামাজে লাখ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।আজকের তেহরানের নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য কতো মানুষ সমবেত হয়েছেন তা হেলিকপ্টার থেকে ছবি গ্রহণ করেও ধারণা করা সম্ভব হচ্ছে না।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী তেহরান থেকে জানিয়েছেন, আজকের জানাযার নামাজে অংশগ্রহণকারী জনতার পরিমাণ হয়তো ইসলামি ইরানের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নামাজে জানাযায় অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে বেশি হবে। এখন থেকে ৩০ বছর আগে ১৯৮৯ সালে ইমামের জানাযার নামাজে ৫০ লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নিয়েছিলেন বলে ধারনা করা হয়।
.........
340