‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
বুধবার

৮ জানুয়ারী ২০২০

৪:১৮:০৫ AM
1000364

শহীদ লেফটেন্যান্ট হাজ কাসেম সোলাইমানি ও তাঁর সাথীদেরকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যার জবাবে ইরাকের আইনুল আসাদ মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে ইসলামি বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী আইআরজিসি।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাজ কাসেম সোলাইমানি, আবু মাহদি আল-মুহানদিস এবং তাঁদের সাথীদেরকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যার জবাব দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরাকের আইন আল-আসাদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কঠিন প্রতিশোধের প্রথম আঘাত হানলো ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী (আইআরজিসি)।

এ হামলার বিষয়ে প্রদত্ত বিবৃতি আইআরজিসি ‘বিসমি কাসিমিল জাব্বারিন’ দিয়ে শুরু করেছে। এরপর শোকার্ত ইরানি জাতির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে: সত্য প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সময় এসেছে। মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে আজ ভোরে মার্কিন বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা এবং শহীদ লেফন্যান্ট হাজ কাসেম সোলাইমানি ও তাঁর সাথীদেরকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যার জবাবে আইআরজিসির এ্যারোস্পেস ফোর্স ইরাকের আইন আল-আসাদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এ অভিযান ‘শহীদ সোলেইমানি’ নামে এবং ‘ইয়া যাহরা’ (সা আ.) কোডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।

ঐ বিবৃতিতে যে সকল বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে:

১। বড় শয়তান আমেরিকাকে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে, যে কোন ধরনের উস্কানীমূলক পদক্ষেপ ও মুভমেন্টের জবাব এরচেয়ে আরো কঠিন ও ভয়ংকরভাবে দেয়া হবে।

২। যে সকল সরকার নিজেদের ঘাঁটিগুলোকে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর অধিনে দিয়েছে, তাদেরকেও এই মর্মে সতর্ক করা হচ্ছে, যে ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিরোধী কোন পদক্ষেপ গৃহীত হবে, তাদেরকেও টার্গেট করা হবে।

৩। কোন অবস্থাতেই এ হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী হামলা থেকে আমরা জায়নবাদী ইসরাইলকে পৃথক ভাবি না।

৪। আমেরিকার জনগণের উদ্দেশ্যে আমাদের পরামর্শ হল, অধিক ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নিন এবং আমেরিকার ক্ষমতাসীন গণস্বার্থ বিরোধী সরকারকে এরচেয়ে বেশী মার্কিন সৈন্যদের রক্ত ঝরানোর অনুমতি দেবেন না।

বিবৃতির শেষে পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানের ১২৬নং আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে; ‘আর সাহায্য শুধু পরাক্রান্ত, মহাজ্ঞানী আল্লাহরই পক্ষ থেকে,’।

প্রসঙ্গত, ইরাকে অবস্থিত আইন আল-আসাদ ঘাঁটিটি একটি সামরিক বিমানবন্দর। এতে ৪০০০ মিটারের একটি রানওয়ে রয়েছে। ঘাঁটিটি বর্তমানে মার্কিন বাহিনীর অধিনে। এটি সমুদ্র থেকে ১৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।#