‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
বৃহস্পতিবার

৯ জানুয়ারী ২০২০

৮:০৫:৫৩ PM
1000998

মার্কিন সমর বিশ্লেষক বলছেন, ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতীকী তো ছিলই না বরং সেগুলো মার্কিন ঘাঁটির অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): যদিও মার্কিন কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এ দাবী তুলেছেন যে, ইরাকে অবস্থিত আইন আল-আসাদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলায় তেমন ক্ষতি হয়নি।কিন্তু মার্কিন এ সমর বিশেষজ্ঞের মন্তব্য ভিন্ন।

ইউএস নেভাল ওয়ার কলেজের স্ট্রাটেজি এ্যান্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডারা ম্যাসিকট তার টুইটার পেজে, আইন আল-আসাদে মার্কিন ঘাঁটির উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য করেছেন

ঐ টুইটে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল আঘাত হানার স্থানের ছবি এবং হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের বিষয়ে লিখেছেন: আমি ইরানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নই, আমি সমর বিশ্লেষক। আমি যখন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলার স্থানগুলো দেখেছি, সেটাকে প্রতীকী হামলা বলে মনে হয়নি, যেভাবে কেউ কেউ দাবী করছেন

আকাশ পথ ব্যবহার করে ইরান এই ঘাঁটির সামরিক সক্ষমতার উপর করে হামলা করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন: ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের স্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।আঘাতের প্রভাব উন্মুক্ত কোন স্থান বা ঘাঁটির দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রানওয়েতে পরিলক্ষিত হয়নি।

তিনি বলেন: ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর কয়টি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে সে বিষয়ে সরাসরি কোন কথা বলেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ।অন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোথায় আঘাত হেনেছে তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত টার্গেটের স্ট্রাটেজি বোঝা সম্ভব নয়

গতকাল (বুধবার, ৮ জানুয়ারি) ভোরে ইরানের ইসলামি বিপ্লবি রক্ষী বাহিনী এক বিবৃতিতে এ বাহিনীর এ্যারোস্পেস ইউনিট কর্তৃক ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আইন আল-আসাদ মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলার তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে যে, হামলা শহীদ লে. হাজ কাসেম সুলাইমানি ও তার সাথীদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে

প্রসঙ্গত, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-আনবার প্রদেশে অবস্থিত আইন আল-আসাদ সামরিক বিমানবন্দর।এটি প্রদেশের রাজধানী আল-রামাদি থেকে ১০৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনী এটিকে দখল করে নেয় এবং ২০১১ সাল পর্যন্ত এটিকে তারা ব্যবহার করে।২০১৪ সালের শেষের দিকে আইএসে’র মোকাবেলার বাহানায় পূনরায় এটির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।বিমানবন্দরটি ইরাকের দ্বিতীয় সর্ববৃহত সামরিক বিমানবন্দর।# ফার্সনিউজ