‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
রবিবার

১৯ জানুয়ারী ২০২০

৩:৪৫:১৬ AM
1003456

সোলেইমানি’র হত্যাকাণ্ড ছিল ‘অবৈধ ও অনৈতিক’ : নুরেমবার্গ ফৌজদারি আদালতের চিফ প্রসিকিউটর

‘সম্প্রতি মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে যে, তাদের প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) নির্দেশের ভিত্তিতে এমন একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক সামরিক ব্যক্তিত্বকে সরিয়ে দেয়ার [বাস্তবিক অর্থে হত্যা করার] পদক্ষেপ নিয়েছে যাদের সাথে আমাদের যুদ্ধ চলছে না। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসাবে বহু প্রবন্ধ এ বিষয়ে আমি লিখেছি, আমার দৃষ্টিতে কাজটি ছিল অনৈতিক এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): নুরেমবার্গ ফৌজদারি আদালতের [সাবেক] চিফ প্রসিকিউটর বেনজামিন বি ফ্রেঞ্জ, ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকে মার্কিন বাহিনী কর্তৃক লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে অনৈতিক ও অবৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।

আসরে ইরানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানা গেছে, নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত শতবর্ষী এ মার্কিন এ আইনজীবি’র লেখাটি ছিল নিম্নরূপ:

জীবনের শতবর্ষে এসেও নিরব থাকতে পারছি না। আমি ১৯২১ সালে দরিদ্র অভিবাসী হিসেবে আমেরিকাতে আসি। আমি অনুভব করছি যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাকে যা কিছু দিয়েছে তার জন্য আমি ঋণী, আর সে ঋণ পূরণ করার আমার কর্তব্য।

আমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাধারণ সৈনিক হিসেবে যুদ্ধ করেছি। যুদ্ধের পর নুরেমবার্গ ফৌজদারী আদালতে নাৎসি নেতাদের বিচারে ভূমিকা রাখতে পেরে আমি গর্বিত। যারা লাখ লাখ নিরাপরাধ পুরুষ, নারী ও শিশু হত্যা করেছিল।

‘সম্প্রতি মার্কিন সরকার ঘোষণা করেছে যে, তাদের প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) নির্দেশের ভিত্তিতে এমন একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক সামরিক ব্যক্তিত্বকে সরিয়ে দেয়ার [বাস্তবিক অর্থে হত্যা করার] পদক্ষেপ নিয়েছে যাদের সাথে আমাদের যুদ্ধ চলছে না। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসাবে বহু প্রবন্ধ এ বিষয়ে আমি লিখেছি, আমার দৃষ্টিতে কাজটি ছিল অনৈতিক এবং দেশ ও আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী।

এ বিষয়ে অবগতি, জনগণের অধিকার। [এ ঘটনায়] জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ও হেগের আন্তর্জাতিক আদালত সবগুলোর চোখেই আঙ্গুল দেয়া হয়েছে। সাইবারের যুগে যুবকেরা যেখানেই থাকুক না কেন তারা হুমকির মুখে। তবে [এ হুমকি থেকে বাঁচার উপায়] আমরা যদি ঐ সকল মানুষগুলোর অন্তর ও চিন্তাকে পরিবর্তন করে দিতে পারি যারা আইনের উপরে যুদ্ধকে প্রাধান্য দেয়’।

প্রসঙ্গত, এর আগে আমেরিকা থেকে পরিচালিত ‘বিজনেস ইনসাইডার’ ওয়েব সাইটও আইন ও সমর বিশেষজ্ঞ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে, লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলেইমানি হত্যার বিষয়ে যদি ইরান মামলা করে তবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট আমেরিকার বিরুদ্ধে রায় দেবে তা প্রায় নিশ্চিত।

প্রসঙ্গত, ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর কুদস ফোর্সের জনপ্রিয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ অপর ৮ জন গত ৩ জানুয়ারি ২০২০ বাগদাদ বিমানবন্দরে কাছে সন্ত্রাসী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো কাপুরুষোচিত হামলায় শহীদ হন।#