‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ParsToday
শনিবার

২৫ জানুয়ারী ২০২০

৬:৫৭:১৯ AM
1005220

সোলাইমানি হত্যার ঘটনা মার্কিন সন্ত্রাসবাদের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত: জাতিসংঘে ইরান

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মজিদ তাখত রাভানচি মার্কিন সামরিক তৎপরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে এ অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দরে কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হত্যার ঘটনা মার্কিন সন্ত্রাসবাদের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত।

(ABNA24.com) মজিদ তাখত রাভানচি নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে ফিলিস্তিন ও পশ্চিম এশিয়ার বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরে বলেছেন, আমেরিকা অত্যন্ত কাপুরুষোচিতভাবে সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে তাদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছে এবং নির্লজ্জভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকার ট্রাম্প নিজের ভুল নীতি ও ধ্বংসাত্মক সামরিক তৎপরতার মাধ্যমে সারা বিশ্বকে বিশেষ করে পশ্চিম এশিয় অঞ্চলকে কঠিন সংকটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক আগ্রাসন, ওই দেশ দু'টিতে তৎপর সন্ত্রাসীদের প্রতি সরাসরি সমর্থন, দখলদার ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার সমর্থন ও সহযোগিতা মূলত পশ্চিম এশিয়াকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন থেকে শুরু করে এ অঞ্চলের রাজতন্ত্র শাসিত কয়েকটি আরব দেশের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন দিয়ে আমেরিকা এ অঞ্চলকে নীরাপত্তাহীন করে তুলেছে।

সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে আমেরিকা পশ্চিম এশিয়ায় সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জোট গঠনের নামে আমেরিকা সিরিয়ার তেল সম্পদ লুটপাট করছে। ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কারণে ইরাকে দায়েশ সন্ত্রাসীরা পরাজিত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা সোলাইমানিকে হত্যা করল। আমেরিকার এসব তৎপরতা পশ্চিম এশিয়ায় নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনেনি। তবে সোলাইমানিকে হত্যার পরিণতিতে পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আগের চেয়ে আরো বেড়ে গেছে। কারণ সোলাইমানি হত্যার পর ইরাকসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর কাছে আমেরিকার প্রকৃত চেহারা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

জেনারেল সোলাইমানির নামাজে জানাজা ও  বিদায় অনুষ্ঠানে ইরাক ও ইরানের লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ থেকে তাদের দাবি বাস্তবায়নে অর্থাৎ এ অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি ও মার্কিন বিরোধী মনোভাব আরো জোরদার হয়েছে।

সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই মনে করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার মার্কিন দাবি ডাহা মিথ্যা। এ অবস্থায় আমেরিকার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিশোধ নেয়ার মাধ্যমেই কেবল এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে পারে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

...........
340