আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে গোপালপত্তনমে এলজি পলিমার কারখানায় ওই ঘটনার জেরে আশেপাশের এলাকার প্রায় ১ হাজার ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনশ’র বেশি লোককে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া গোপালপুরমে বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছু মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল সেখানে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে।
ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেছেন, ‘বিশাখাপত্তনমের পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি, ওরা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছেন। আমি বিশাখাপত্তনমের প্রত্যেকের সুরক্ষা ও মঙ্গল কামনা করি।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী এমপি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। আমি স্থানীয় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছি যাতে, দুর্গতদের সবরকম সাহায্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। মৃতদের পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি গ্যাস লিকের ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব সেগুলোকেও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি আজ অসুস্থদের দেখতে কিং জর্জ হাসাপাতালে যান।। তিনি পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলে জানিয়েছেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে কারখানাটি খোলার পরপরই আচমকা সেখান থেকে গ্যাস বের হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যান এলাকার কয়েকশ’ মানুষ, প্রবল শ্বাসকষ্টও শুরু হয় অনেকের। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিশু এবং বৃদ্ধরা।#
342/