আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): এসময় করোনা মোকাবিলায় ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় দুই দেশ এক সাথে কাজ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।আজ বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এবং নরেন্দ্র মোদি নয়া দিল্লিতে তার দপ্তর থেকে এই বৈঠকে যুক্ত হন।
এ বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সম্মানে ভারতে ডাকবিভাগের স্ট্যাম্প উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া দীর্ঘ ৫৫ বছর পর হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
এর আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠকের অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃষিসহ সাতটি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে। আজ সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এসব সমঝোতা স্মারক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সাত মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সচিব বা শীর্ষ কর্মকর্তা আর ভারতের পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এসব সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- নয়াদিল্লি জাদুঘরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সহযোগিতা, হাইড্রোকার্বনে সহযোগিতার বিষয়ে রূপরেখা, কৃষি খাতে সহযোগিতা, হাতি সুরক্ষায় অভয়ারণ্য নিশ্চিত করা, হাই ইমপ্যাক্ট কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প চালু, বাংলাদেশ-ভারত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফোরামের টার্মস অব রেফারেন্স এবং বরিশালে সুয়ারেজ প্রকল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে যন্ত্রপাতি কেনাকাটায় ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা।
বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির ১৭ মার্চ ঢাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেটি বাতিল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে আগামী মার্চে তাকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। #
342/