আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : বিশিষ্ট সমাজকর্মী মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারা কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রভাবিত হচ্ছে। হাওড়া জেলার পাঁচলাতে যেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী সন্ত্রাস চালিয়েছে এবং কুচবিহার জেলার শীতলকুচিতে যেভাবে পাঁচ-পাঁচটি তাজা প্রাণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঝরে গেল, তাতে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত! আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের নিরপেক্ষতা নিয়ে যথাযথ তদন্ত করা হোক এবং যারা অপরাধী তাদের শাস্তি দেওয়া হোক।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, রাজ্যে ৮ দফায় নির্বাচন হচ্ছে, এটি অনেক নিরপেক্ষ হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে এবারের নির্বাচন হবে। কিন্তু বিগত সময়ের নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনে যথেষ্ট গোলযোগ ও হাঙ্গামা সৃষ্টি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।’
মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান মুসলিম ভোট কর্মীদের বিষয়ে বলেন, ‘রাজ্যে ৮ দফার নির্বাচনের মধ্যে ৪ দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাকি ৪ দফা নির্বাচন পবিত্র রমজান মাসের মধ্যে পড়েছে। ভোটকর্মীদের মধ্যে যারা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রোজা রাখবেন তাদের যেন নামাজ ও ইফতারির জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা জেলা শাসকদের ওই বিষয়টি জানাবেন বলে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।’
পশ্চিমবঙ্গে আজ চতুর্থ দফায় বিধানসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজ্যে ২৭ মার্চ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৮ দফায় ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে ২ মে।#
342/