আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক খবর। ওই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। জঙ্গিদের ঘৃণ্য মানসিকতা কোনওদিন সফল হতে পারবে না। ওই কাজের জন্য তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
নিহত বিজেপি নেতা রাকেশ পণ্ডিত ত্রালের পৌর কাউন্সিলর এবং পুলওয়ামা জেলা বিজেপি ইউনিটের সম্পাদক ছিলেন। তিনি কাশ্মীরের রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন এবং অনেক সময়ে উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তিনি মন্তব্য করতেন বলে জানা গেছে। তাঁর নিরাপত্তার জন্য ২ জন পিএসও (ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা) নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রকাশ, বুধবার রাতে নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াই ত্রাল এলাকায় গিয়েছিলেন ওই নেতা। তখনই গেরিলারা গুলি করে হত্যা করে রাকেশ পণ্ডিতকে। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে।
আজ (বৃহস্পতিবার) এনডিটিভি হিন্দি ওয়েবসসাইট সূত্রে প্রকাশ, পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নিহত ওই বিজেপি নেতার লাশ আজ জম্মুতে তাঁর রূপনগর বাসভবনে পৌঁছয়। পরে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
পুলিশ বলছে, কাউন্সিলর পান্ডিতকে তাঁর নিরাপত্তার জন্য দু’জন পিএসও (ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা) দেওয়া হয়েছিল। শ্রীনগরে থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থাও ছিল কিন্তু বুধবার দেহরক্ষী ছাড়াই তিনি তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে ত্রালে গিয়েছিলেন।
এদিকে, ওই ঘটনার পরে আজ কাশ্মীর পুলিশ বলেছে, যারা সুরক্ষা পেয়েছেন, তারা যেন ‘পিএসও’ ছাড়া কোথাও না যান। সফরের সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিপদের বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। পুলিশ এক নির্দেশনায় সমস্ত সুরক্ষাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এসওপি অনুসরণ করার এবং বিনাকারণে তাদের জীবনকে ঝুঁকিতে না ফেলার জন্য অনুরোধ করেছে।#
342/