আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক মো. নাছির, সদস্য-সচিব মিজানুর রহমান, বায়েজিদ বোস্তামী থানার আহ্বায়ক মো. রাসেল, নগর ছাত্র অধিকার আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক মো. ইমন, কর্মী ইয়ার মোহাম্মদ, জিয়া উদ্দিন, ইয়াসিন আরাফাত, হাবিবুল্লাহ, ইমরান হোসেন ও মো. মিজান। এ নিয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পূজামণ্ডপে হামলার চেষ্টার পাশাপাশি তোরণ-ব্যানার ভাঙচুর করেন। দুর্গা পূজা ঘিরে সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে তাঁরা এ কাজ করেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের শনাক্ত করা হয়। ঘটনার দিন জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের নিয়ে তাঁরাই মিছিল বের করেছিলেন। আসামিদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। উল্লেখ্য, ১৬ অক্টোবর দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লা জেএমসেন হল পূজামণ্ডপে হামলা, ফটকের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা ও মণ্ডপে ঢিল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৮৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে।
ইকবালকে আনা হল কুমিল্লায়
ওদিকে, কুমিল্লার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আটক যুবককে আজ শুক্রবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।ইকবালকে কড়া পাহারায় শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কুমিল্লা আনার পর তাকে পুলিশ লাইন্সে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।পুলিশ দাবি করছে, কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘিরপাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন মুরাদপুর লস্করপুকুরপাড়ের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। মণ্ডপের আশপাশসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। #
342/