আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : বৃটিশরাও তা ভাঙার সাহস করতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের সিদ্ধান্তে পৌনে দুশো বছরের অস্তিত্ব একপ্রকার শেষ করে দিয়েছে। তিনি আজ (শনিবার) কুলগামে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে ওই মন্তব্য করেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এবং রাজ্যটিকে দু’টি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। সেই থেকে উপত্যকার জনগণ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে পুনরায় বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
আজ গুলাম নবী আজাদ বলেন, সাধারণত কেন্দ্রীয় সরকারশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে এমন হয়েছে যেন পুলিশের মহাপরিচালককে (ডিজিপি) থানাদার, মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক এবং মুখ্যসচিবকে পাটোয়ারি করা হয়েছে। কোনও বুদ্ধিমান মানুষ এই কাজ করতে পারে না। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সংসদে অনেক কথা বলেছি।
সাবেক মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদ বলেন, কাশ্মীর পুনরায় রাজ্যের মর্যাদা না পাওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস লড়াই চালিয়ে যাবে। এবং এ জন্য আমাদের প্রাণ হারাতে হলেও আন্দোলন চলবে। আমরা রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জন্য গুলি খেতেও প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ৩৭০ ধারা অপসারণের পরে, কেন্দ্রীয় সরকার এখানে কতগুলো শিল্প স্থাপন করেছে তা সকলেই জানেন। নতুন শিল্প স্থাপন তো দূরের কথা, প্রায় সাড়ে সাত হাজার শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময়ে তিনি তাঁর মেয়াদে করা উন্নয়ন কাজের বিবরণ দিয়ে বলেন, সর্বোচ্চ উন্নয়ন কাজ যাতে করা যায় সেজন্য তিন শিফটে কাজ করা হয়েছে। তিনি আজ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন।#
342/