আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, বিএনপি কখনও নির্বাচন, সংবিধান ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বিশ্বাস করে না। অতীতের মতো তারা চায় হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ “সাদেক আলী-আজিজ মার্কা” নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও আলাপ-আলোচনা ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়।
এবারেও নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সংবিধান সম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহ সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা রাখবে।’
342/