‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
সোমবার

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

৮:১৮:১২ AM
1234283

নতুন সিইসি ও চার কমিশনারের শপথ: বিএনপির প্রতিক্রিয়া

সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ গেজেট জারি করা হয়।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : নতুন কমিশনে চার নির্বাচন কমিশনার হলেন-অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান। তবে, নতুন গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফখরুল বলেন, আমরা আগেও বলেছি এখনও পরিষ্কার করে বলছি, শুধু নির্বাচন কমিশন নয় আওয়ামী লীগ যা কিছু করবে সব তাদের নিজেদের লোকদের দিয়ে করবে। সুতরাং প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা আমাদের কাছে অর্থবহ নয়, তাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। ওদিকে, আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মায়া বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন  সংবিধান মেনে যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যপথে ক্ষমতায় যাবার কোনো সুযোগ নেই।

এর আগে আজ রাজধানীতে বিএনপির উদ্যোগে পিলখানা ট্র্যাজেডি স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন যারা সরকারে আছে তাদের জনপ্রতিনিধিত্ব করার কোনো অধিকার নেই, তারা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। এ কারণে আমরা বলে আসছি, এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট শক্তি যারা মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে, আমাদের ভোটের অধিকার, বাঁচার অধিকার, কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যাদের কারণে আমাদের বিশ্বের কাছে লজ্জিত হতে হচ্ছে; তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এ ছাড়া, আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র চর্চা ফিরিয়ে এনে সাধারণ মানুষের অধিকার ফেরাতে রাজপথে আন্দোলনের ‘কোনো বিকল্প নেই’। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করতে হলে গায়ের জোরে বসে থাকা সরকারকে বিদায় করতে হবে। এদের বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন আন্দোলন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাইকে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ #

342/