‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : ABNA
শুক্রবার

৪ মার্চ ২০২২

২:০৫:৩৭ PM
1235665

পেশোয়ারে জুমআর নামাজে হামলা; ৮০ জন হতাহত (ভিডিও)

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পেশোয়ার শহরের একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন মুসল্লি শহীদ হয়েছেন।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের ‘কুচা রেসালাদার’ এলাকায় একটি শিয়া মসজিদে জুমআর নামাজ চলাকালীন সময়ে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত হামলায় ৩০ জন মুসল্লি’র শাহাদাতের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু বিস্ফোরণের ব্যাপকতা দেখে শহীদদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ঐ বিস্ফোরণে অন্তত ৫০ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

পেশোয়ার পুলিশের ভাষ্যমতে, জুমআর নামাজ চলাকালীন সময়ে ঐ বিস্ফোরণ ঘটনো হয়।

সংবাদ সূত্রগুলো জানিয়েছে, আত্মঘাতী এক ব্যক্তি, মসজিদের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের সাথে সশস্ত্র সংঘর্ষের পর মসজিদের উঠোনে ঢুকে পড়ে নামাজরত মুসল্লিদের মাঝে নিজেকে বিস্ফোরিত করে।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দানের বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।

 

ঐতিহাসিক রেসালাদার ইমামবাড়ি

পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরের রেসালাদার এলাকাটি হল সেই এলাকা যেখানে ‘মরহুম সুলতানুল ওয়াজিন’ ১৫ রজনী ব্যাপী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের আহলে সুন্নাতের আলেমদের সাথে ‘ইমামতের বিষয় প্রমাণ’, ‘আল্লাহর রাসুল (স.)-এর পরবর্তী খলিফা হজরত আলী (আ.)’ এবং ‘আহলে বাইত (আ.)-এর ফজিলতে’র বিষয়ে মুনাজিরা করেছিলেন।

ঐ মুনাজিরার বৈঠকগুলো মরহুম আদেল বেগ রেসালাদার ইমামবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ঐ মুনাজিরায় আলোচ্য বিষয়াদি ‘শাবহায়ে পেশাওয়ার’ (পেশোয়ার নাইটস) নামক গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়। বিপুল জনপ্রিয় গ্রন্থটি ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

আহলে বাইত (আ.)-এর অনুসারীরা রেসালাদার ইমামবাড়িটিকে পরবর্তীতে সম্প্রসারিত করে একটি মসজিদও নির্মাণ করেন।

১৩৫৭ ফার্সি সনে, ইরানের স্বৈরাচারী শাহ সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম যখন তুঙ্গে, তখন পাকিস্তানের পারাচিনার শহরের শিয়ারা ইমাম খোমেনি (রহ.)-এর সমর্থনে র‌্যালীতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে পেশোয়ারে যান এবং র‌্যালী শেষে এই মসজিদেই অবস্থান করেন। আল্লামা শহীদ সৈয়দ আরেফ হুসাইন হুসাইনি ঐ র‌্যালীর নেতৃত্বে ছিলেন।

ঐ সময় ইমাম খোমেনি (রহ.) প্যারিসে অবস্থান করছিলেন। ঐ র‌্যালীতে প্রদত্ত শ্লোগানগুলোর একটিতে ইমাম খোমেনি (রহ.)-কে প্যারিসের পরিবর্তে পাকিস্তানের আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা ঘোষণা করেছিল, পাকিস্তানের শিয়ারা বিশেষ করে পারাচিনারের শিয়ারা ইমাম (রহ.) এর নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন।

প্রসঙ্গত, রেসালাদার এলাকার বেশীরভাগ শিয়া হচ্ছে কিজিলবাশ গোত্রীয় এবং উর্দু, পাশতু ও ইংরেজি মিশ্রিত ফার্সি ভাষায় কথা বলে থাকে।#176