আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) :ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র আরো বলেন, “চীনের জনগণ অন্য দেশের দুঃখ-দুর্দশা বেশ ভালোভাবে বুঝতে পারে এবং যুগোস্লাভিয়ার রাজধানীর বেলগ্রেডে আমাদের দূতাবাসে কারা বোমা হামলা চালিয়েছিল সেকথা আমরা কখনো ভুলে যাবো না। আন্তর্জাতিক আইনের অপব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে ন্যায়-অন্যায় নিয়ে আমাদেরকে উপদেশ দেয়ার প্রয়োজন নেই।”
একই সঙ্গে ন্যাটো সামরিক জোটকে স্নায়ুযুদ্ধের অবশিষ্টাংশ বলে উল্লেখ করেছেন চীনের ওই কূটনীতিক।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ গত মঙ্গলবার ব্রাসেলসে জোটের জরুরি বৈঠকে চীনকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের জোরালো নিন্দা জানানো উচিত। চীন যদি এই সময় রাশিয়াকে সমর্থন করে তাহলে মস্কো ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখবে যার ফলে বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হবে এবং সাধারণ মানুষকে অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা ভোগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনকে উচ্চে তুলে ধরার দায়িত্ব রয়েছে চীনের।
ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে চীন তবে মস্কোর যুক্তির সঙ্গে বেইজিং একমত। চীন বলেছে, ইউরোপে ন্যাটো জোটের বিস্তার সুস্পষ্টভাবে উসকানিমূলক তৎপরতা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অস্বীকার করেছে চীন এবং যেসব দেশ নিষধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাদের সমালোচনা করেছে। বেইজিং পরিষ্কার ভাষায় বলেছে, এই ধরনের পদক্ষেপ অবৈধ এবং আন্তর্জাতিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করবে।
১৯৯৯ সালের ৭ মে রাত একটার দিকে মার্কিন বি-৫২ বোমারু বিমান বেলগ্রেডে চীনা দূতাবাসে বোমাবর্ষণ করে। এতে চীনের তিন সাংবাদিক নিহত ও ২০ জন আহত হন। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এ হামলা চালায়। পরে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এ হামলার জন্য চীনের কাছে ক্ষমা চান।#
342/