‘আহলে বাইত বার্তা সংস্থা’

সূত্র : Parstoday
বৃহস্পতিবার

৩১ মার্চ ২০২২

৪:১৭:৫১ PM
1243421

মস্কো ও বেইজিংয়ের সহযোগিতা অশেষ ও সীমানাহীন: চীন

চীন রাশিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তাসহ সবক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষণা করেছে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন বিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, মস্কো ও বেইজিংয়ের সহযোগিতা অশেষ ও সীমানাহীন।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা) : রাশিয়ার ওপর যখন পাশ্চাত্যের ও বিশেষ করে মার্কিন সরকারের অর্থনৈতিক এবং সামরিক ও নিরাপত্তাগত চাপ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে তখন চীন এই ঘোষণা দিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে নিরাপত্তা, বাণিজ্য, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাতে মস্কোর ওপর পাশ্চাত্যের চাপ বেড়েই চলেছে। 

ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের পেছনে প্রধান উস্কানিদাতা ন্যাটো জোট ও মার্কিন সরকার বলছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদার করলে কিয়েভ থেকে পিছু হটবে মস্কো। দৃশ্যত রুশ-বিরোধী আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে মস্কোকে তীব্র চাপের মুখে ফেলতে সক্ষম হয়েছে ওয়াশিংটন। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও চীন রাশিয়ার সহযোগী হয়ে তার মার্কিন বিরোধী অবস্থান জোরদারের চেষ্টা করছে। 

চীন বহু বছর ধরে রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করে আসছে। গত এক দশকে এই প্রক্রিয়া বেশ বেগবান হয়েছে। পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে বহুমুখী নিষেধাজ্ঞার তীব্র চাপের মুখে মস্কো এখন চীনের আরও জোরালো সহযোগিতার প্রত্যাশী। 

অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন ইউক্রেনে যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে উস্কানি দিয়ে মার্কিন সরকার মস্কো ও বেইজিংয়ের ঐক্যে ফাটল ধরাতে চায়। কারণ, পাশ্চাত্য মনে করে রাশিয়া ও চীনের ঐক্য বিশ্বের ওপর মার্কিন একাধিপত্যকে বিপন্ন করবে এবং এই ঐক্য বিশ্বকে পাশ্চাত্যের বা মার্কিন সরকারের ইচ্ছেমত পরিচালনার সুযোগ দিবে না। এ অবস্থায় মার্কিন সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিগুলো যত বেশি পরস্পরের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত বেশি ভূমিকা রাখছে পাশ্চাত্য ততই তাদের প্রভাব ও ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা করছে।  

সাবেক মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেজনস্কি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিশ্বের ওপর মার্কিন আধিপত্য ধরে রাখতে হলে ইউরেশিয়ান শক্তিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ ইউরো-এশীয় শক্তিগুলো তাদের আন্তর্জাতিক প্রভাব বাড়াতে সচেষ্ট। তাই নানা ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাশিয়া ও চীনকে দুর্বল করতে হবে এবং চীন ও রাশিয়ার আশপাশের অঞ্চলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগিয়ে রাখতে হবে।  

যাই হোক তীব্র চাপের মুখে থাকা রাশিয়ার জন্য চীনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকার ঘোষণা মস্কোর জন্য অত্যন্ত স্বস্তির খবর। অন্য অনেক শক্তির মত মস্কো ও বেইজিংও তাদের জাতীয় স্বার্থকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কৌশলগত মিত্রতার নীতি নির্ধারণ করবে যা অনিবার্য বাস্তবতারই স্বাভাবিক প্রকাশ। #


342/